এখনও অবাধে চলছে চোলাই মদ কারবার
সংগ্রামপুরে বিষমদ কান্ডে মৃত্যুমিছিল এখনও চলছে। তবে প্রশাসনের টনক একটুও নড়েনি। তাই বৃহস্পতিবারও শহরের বিভিন্ন স্টেশনে অবাধে ঢুকছে চোলাই মদ।
সংগ্রামপুরে বিষমদ কান্ডে মৃত্যুমিছিল এখনও চলছে। তবে প্রশাসনের টনক একটুও নড়েনি। তাই বৃহস্পতিবারও শহরের বিভিন্ন স্টেশনে অবাধে ঢুকছে চোলাই মদ। তা অবাধে ছড়িয়ে যাচ্ছে শহরের অনেক জায়গায়। চলছে প্রকাশ্যে বিষমদ পানও। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্টেশনে ২৪ ঘন্টার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি। সকাল ৭টা: পার্ক সার্কাস স্টেশন। বিভিন্ন শাখার ট্রেন থামতেই ভেন্ডার কামরা থেকে নামছে চোলাই কারবারিরা। বাঁক বোঝাই ব্যারেল পৌঁছে যাচ্ছে গন্তব্যে।
সকাল ৮টা: বন্ডেল গেট। রেল লাইন লাগোয়া ঝুপড়ি ঘেঁসে বসে রয়েছেন গোটা কয়েক মানুষ। সংগ্রামপুরের ঘটনার পর বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করেই চলছে সেবন। গেট লাগোয়া উড়ালপুলের নিচে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে কিছু বস্তা। আপাতদৃষ্টিতে বেওয়ারিশ। তবে ভিতরে কী রয়েছে, সহজেই অনুমেয়।
সকাল ৯টা: ঢাকুরিয়া স্টেশন। সেভাবে প্রকাশ্যে চোলাই মদ নেই। তবে চোলাই কারবারের প্রমাণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যত্রতত্র। এমনকি চোলাই তৈরির ভাঁটি বুধবার রাতেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে যুদ্ধকালীন তত্পরতায়। সকালে রয়েছে শুধু প্রমাণ।
সকাল ১০টা: পার্ক সার্কাস। স্টেশন লাগোয়া চামড়া ট্যানারি। গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিষমদের রমারমা কারবারের ছবি। ট্যানারির ভাঙা পাঁচিলকেই বানানো হয়েছে মদের কাউন্টার। কারবারিরা রয়েছেন পাঁচিলের ওপারে। পাঁচিলের ভাঙা অংশ দিয়ে টাকা বাড়িয়ে দিলেই হাতে চলে আসছে চোলাই মদের পাউচ। বৃদ্ধ থেকে শুরু কিশোর, যুবক। এমনকি ক্রেতাদের ভিড়ে রয়েছে ছোট শিশুরাও। প্রকাশ্যেই চলছে বিষমদ পান।
বেলা ১১টা: লেক গার্ডেন্স। রেল লাইনের ওপরই বসেছে মদ্যপানের আসর। একটা-দুটো নয়। অসংখ্য। লাইনের ধারে ঝোঁপের ভেতর বহাল তবিয়তে চলছে বিষ মদের কারবার। এখানে পাউচ নয়। মগে করে চলছে চোলাই বিক্রি। ছোট মগের দাম পাঁচ টাকা। বড় মগের দাম দশটাকা। তবে কারবারিরা সতর্ক। পরিচিত মুখ না হলে মিলবে না মদ।
বেলা ১২টা: যাদবপুর। রেল স্টেশনের ধার ঘেষেই বাজার। বাজারের এক ধারে দুপুর থেকেই বসে গেছে চোলাই মদের আসর। চলবে গভীর রাত পর্যন্ত।
দুপুর ১টা: কাঁকুড়গাছি এলাকার রেল বস্তি। বস্তির ছোট ছোট ঝুপড়িতেই চলছে বেআইনি দেশি মদের কারবার। অবাধেই চলছে চোলাই মদের পাউচ বিক্রি।
দুপুর ২টো: গার্ডেনরিচের ভূকৈলাশ রোড। দু-বছর আগেই এই এলাকাতেই বিষ মদের বলি হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সংগ্রামপুর কাণ্ডের পর কিছুটা আড়ালেই চলছে বন্দর এলাকায় বিষমদের কারবারচেনা খরিদ্দার না হলে অবশ্য এই ঠেকে নো-এন্ট্রি।