সন্ধের পর থেকে অবস্থার আরও অবনতি সৌমিত্রর
এখনও পর্যন্ত ২৫ দিন হাসপাতালে রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত গত ১১ দিনে চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছে না তাঁর মস্তিষ্ক
তন্ময় প্রামাণিক
গত ২৪ ঘণ্টায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকেই ছিল। রবিবার সন্ধের পর তা আরও খারাপ হল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সৌমিত্রবাবুর যে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তা থামানো যায়নি। পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪ ইউনিট রক্ত দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। রক্তক্ষরণ কোথা থেকে হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে মরিয়া চিকিত্সকেরা। সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করে তা জানার চেষ্টা চলছে। সবেমিলিয়ে ক্রমশ জমি হারাচ্ছেন চিকিত্সকেরা।
আরও পড়ুন-দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলো কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগনায়, একদিনে রাজ্য করোনার শিকার ৫৯
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটার ঠিক রাখাই এখন চিকিত্সকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সতর্কতা হিসেবে কার্ডিও থোরাসিক ভাস্কুলার সার্জনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ডাকা হয়েছে রেডিওলজি বিশেষজ্ঞদেরও। সবেমিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটজনক।
রবিবার বিকেলে হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ফের ইন্টারন্যাল রক্তক্ষরণ হয়েছে সৌমিত্রর। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল। কমেছিল প্লেটলেটও। অবস্থা সামাল দিতে একাধিক ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হয়। শেষপর্যন্ত হিমোগ্লোবিন ও প্লেটলেট নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে।
আরও পড়ুন-রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের খুন করছে মমতার পুলিস, মারাত্মক অভিযোগ বিজয়বর্গীয়র
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ২৫ দিন হাসপাতালে রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত গত ১১ দিনে চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছে না তাঁর মস্তিষ্ক। রবিবার ফের ডায়ালিসিস করানোর কথা ভাবেন চিকিত্সকরা। ইউরিনের মাত্রা ঠিকই ছিল। স্বাভাবিক না হলেও নিয়ন্ত্রণেই ছিল ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ।
এদিকে, আগের মতো এখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রয়েছে অভিনেতা। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই। চিকিত্সকরা চেষ্টা করছেন, সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায়।