বিরোধী আসনে ৭ মাস

২০১১ সালের শুরুটা হয়েছিল রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামাম বাজিয়ে। ৩৪ বছর পর রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তনের স্লোগানে ভর করে মহাকরণে এসেছে নতুন সরকার। ৩৪ বছরের শাসক দল আজ বিরোধীদের আসনে।

Updated By: Dec 31, 2011, 04:52 PM IST

২০১১ সালের শুরুটা হয়েছিল রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামাম বাজিয়ে। ৩৪ বছর পর রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তনের স্লোগানে ভর করে মহাকরণে এসেছে নতুন সরকার। ৩৪ বছরের শাসক দল আজ বিরোধীদের আসনে। বছর শেষের সালতামামি করতে গিয়ে সিপিআইএমের তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্য কিন্তু বলে দিচ্ছে চলতি বছরটা লাগাতার খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, ভিটেছাড়া হওয়ার আতঙ্ক বুকে নিয়েই কাটালেন বিরোধীরা। সিপিআইএমের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এরাজ্যে খুন হয়েছেন ৪৯ জন বামপন্থী কর্মী সমর্থক। অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপে আত্মঘাতী হয়েছেন ১০ জন। আহত হয়েছেন ৪২৮৭ জন। ঘরছাড়া হয়ে ত্রাণশিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একজন মহিলা। কিন্তু এই কমাসে সারা রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। অভিযোগ, গত সাত মাসে রাজ্যে ২৩ জন মহিলা ধর্ষিত হয়েছেন। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ৫১৩ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭১২ জন মহিলা। ১৩ মে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই একের পর এক হামলা হয়েছে সিপিআইএমের পার্টি অফিসগুলিতে। অভিযোগ, লুঠপাট চালিয়ে দখলকরে নেওয়া হয়েছে ৫৮২ টি পার্টি অফিস। অন্তত সাতটি ক্ষেত্রে হামলা হয়েছে সিপিআইএমের দলীয় সম্মেলনে। শনিবার সিপিআইএমের বাঁকুড়া জেলা সম্মেলনের পর এই নিয়ে মুখ খুলেছেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। 

সিপিআইএমের প্রকাশিত তথ্যে অভিযোগ, শাসক গোষ্ঠীর মদতে দখল করা হয়েছে ২০৬ টি শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৯৭ জন বাম কর্মী সমর্থককে। অন্তত ৯৫২৩ জন বাম সমর্থকদের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা হয়েছে ২৭ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। জোর করে জমি চাষ করতে দেওয়া হয়নি অন্তত ৩৪১৯ জন কৃষককে। প্রায় দশ হাজার একর জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে ২৭২৫৪ জন পাট্টা ও বর্গাদারকে। নতুন বছরে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে কিনা, সেদিকেই এখন তাকিয়ে হাজার হাজার মানুষ।

.