দেশে দূষণে মৃত্যুতে এগিয়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, অনেকটাই পিছিয়ে বাংলা

আইসিএমআর-এর একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ভারতের অপেক্ষাকৃত ধনী রাজ্যগুলি যেমন পঞ্জাব, হরিয়ানা, তামিলনাডুতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। পঞ্জাবে যেখানে হৃদরোগজনিত সমস্যায় প্রতি ১ লাখ মানুষে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬১, সেখানে পশ্চিমবঙ্গও এই সংখ্যাটা খুব কম নয়। হার্ট ও ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫০-এর কাছাকাছি। অন্যদিকে, সিওপিডি-তেও মৃত্যুর সংখ্যা এরাজ্যে প্রতি লাখে ৪৮ জন।

Updated By: Nov 27, 2017, 08:31 PM IST
দেশে দূষণে মৃত্যুতে এগিয়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, অনেকটাই পিছিয়ে বাংলা
ছবিটি প্রতীকী

নিজস্ব প্রতিবেদন : মৃত্যুর একাধিক কারণ থাকে। তবে, এর মধ্যে হৃদরোগ ও ফুসফুস জনিত রোগে ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এমনই পরিসংখ্যান জানাচ্ছে সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)। তবে এখানেই শেষ নয়, আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে ওই সংস্থা।

সম্প্রতি আইসিএমআর-এর একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ভারতের অপেক্ষাকৃত ধনী রাজ্যগুলি যেমন পঞ্জাব, হরিয়ানা, তামিলনাডুতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। পঞ্জাবে যেখানে হৃদরোগজনিত সমস্যায় প্রতি ১ লাখ মানুষে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬১, সেখানে পশ্চিমবঙ্গও এই সংখ্যাটা খুব কম নয়। হার্ট ও ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫০-এর কাছাকাছি। অন্যদিকে, সিওপিডি-তেও মৃত্যুর সংখ্যা এরাজ্যে প্রতি লাখে ৪৮ জন।

আরও পড়ুন- মিরাক্যাল! ক্যানসার সেরে যাবে পুরোপুরি, নতুন ওষুধ আবিষ্কার ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের

হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা যেমন পঞ্জাব, হরিয়ানা বা তামিলনাডুর মতো রাজ্যে বেশি, তেমনই দূষণে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, বিহারের মতো জায়গায় মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ্যযোগ্য। প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে বছরে মৃত্যু হয় ৮০ থেকে ১০০ জনের। অন্যদিকে, বায়ুদূষণের ফলে হাঁপানি, ফুসফুসজনিত রোগে পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ২৬-এ আশপাশে।  

ডায়রিয়াতেও এরাজ্যে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। ওড়িশা, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে এই রোগে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। পশ্চিমবঙ্গে জলবাহিত রোগে মৃত্যুর পরিসংখ্যানটাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। এখানে একলাখে মাত্র ৩৮ জনের মৃত্যু হয় এই রোগের প্রভাবে।

.