জুলাই থেকেই অক্সফোর্ডের করোনা টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু করবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট!

জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ২০ থেকে ৩০ লক্ষ প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজ শুরু করে দেবে সিরাম ইনস্টিটিউট। পরবর্তীকালে উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jun 27, 2020, 05:46 PM IST
জুলাই থেকেই অক্সফোর্ডের করোনা টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু করবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট!
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca)। এ বার ভারতেও করোনা টিকার উৎপাদন শুরু করতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও (Serum Institute of India)।

জানা গিয়েছে, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই অক্সফোর্ডের গবেষকদের তৈরি করোনা টিকার উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিতে চায় পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব জানান, বয়স্ক মানুষের শরীরে করোনার বিরুদ্ধে কার্যকারিতা পরখ করে দেখতে শেষ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হল অক্সফোর্ডের তৈরি প্রতিষেধকের (ChAdOx1 nCoV-19 vaccine)। এর ফলাফল জুলাই মাসের শুরুতেই জানা যাবে। তার পরই প্রথম দফায় ২০ থেকে ৩০ লক্ষ প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজ শুরু করে দেবে সিরাম ইনস্টিটিউট। পরবর্তীকালে উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে।

সেপ্টেম্বরে মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একজোটে এগোচ্ছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা ও সিরাম ইনস্টিটিউট। গত সপ্তাহে ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল জানান, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডসে এই প্রতিষেধকের ৪০ কোটি ডোজ পাঠাবে সংস্থা। ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র সঙ্গে সেই মতো চুক্তিও হয়ে গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই দেশগুলির।

আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর তথ্য! করোনার জন্যই ভারতে টিবির বলি হতে পারেন প্রায় ৯৫ হাজার জন

গত বুধবার অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধান অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড জনান, প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবীণদের মধ্যে এই প্রতিষেধক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা প্রতিরোধের গড়ে তুলতে পারে, তা মূল্যায়ন করার জন্যই এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। একই সঙ্গে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের লক্ষ্য হল, এই প্রতিষেধক বিপুল সংখ্যক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে কিনা তা বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত করা। কারণ, প্রতিষেধক বাজারে ছাড়ার আগে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সব রকম ভাবে নিশ্চিত হয়ে নিতে চাইছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা।

.