দেখে নিন ৮ রকম ডায়েট, যা রোগা হওয়ার জন্য সবথেকে বেশি প্রচলিত

রোজ বন্ধুরা বলছে, 'কি মোটা হয়ে গিয়েছিস রে'। জিম, যোগা করেও বেড়ে চলেছে ওজন। অগত্যা এবার থেকে জিভে লাগাতে হবে লাগাম। শুরু করতে হবে ডায়েটিং। কিন্তু কোন ডায়েটটা আপনার জন্য ঠিক? আপনি রোগা হতে গেলে কী কী খাবেন আর কী কী খাবেন না? নানা লোকের নানা 'টিপস'। এবার সেই সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি। আপনি নিজেই বেছে নিতে পারবেন নিজের 'পারফেক্ট' ডায়েট। নীচে দেওয়া হল ৮ রকম ডায়েট যা রোগা হওয়ার জন্য সবথেকে বেশি প্রচলিত।

Updated By: Apr 2, 2016, 02:51 PM IST
দেখে নিন ৮ রকম ডায়েট, যা রোগা হওয়ার জন্য সবথেকে বেশি প্রচলিত

ওয়েব ডেস্ক: রোজ বন্ধুরা বলছে, 'কি মোটা হয়ে গিয়েছিস রে'। জিম, যোগা করেও বেড়ে চলেছে ওজন। অগত্যা এবার থেকে জিভে লাগাতে হবে লাগাম। শুরু করতে হবে ডায়েটিং। কিন্তু কোন ডায়েটটা আপনার জন্য ঠিক? আপনি রোগা হতে গেলে কী কী খাবেন আর কী কী খাবেন না? নানা লোকের নানা 'টিপস'। এবার সেই সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি। আপনি নিজেই বেছে নিতে পারবেন নিজের 'পারফেক্ট' ডায়েট। নীচে দেওয়া হল ৮ রকম ডায়েট যা রোগা হওয়ার জন্য সবথেকে বেশি প্রচলিত।

১. অ্যালকেলাইন ডায়েট:- এই ধরণের ডায়েটে মূলত খাবারের প্রভাব কম করে। খাবার হজম হওয়ার পর শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এইরকম ডায়েটে থাকে দুই তৃতীয়াংশ অ্যাল্কালিজিং ফুড অর্থাৎ সবুজ সবজি। বাকি এক তৃতীয়াংশে থাকে অ্যাসিডিফাইয়িং খাবার অর্থাৎ পাঠার মাংস, চিজ। এর ফলে শরীরে খাবারের ভারসাম্য থাকে।

২. ক্রোনো নিউট্রিশন:- যারা খেতে পছন্দ করেন তাদের এই ডায়েট 'বিলকুল না পসন্দ'। এই ডায়েটে খাবারে কোনও নিষধ নেই, যা ইচ্ছে তাই খেতে পারেন। তবে সেটা দিনে একবারই। সারাদিন যাদের মুখ চলতেই থাকে তাদের জন্য ক্রোনো নিউট্রিশন বেশ মুশকিলের। এই ডায়েট শুরু হয় ভারি জলখাবার দিয়ে যেখানে থাকবে প্রাণীজ প্রোটিন। এরপর পরবর্তী খাওয়া সোজা লাঞ্চে। শেষ স্টপেজ হালকা ডিনার। ডিনারে একদম থাকা চলবে না ক্যালোরি।

৩. ডেটক্স ডায়েট:- সাত দিনে রোগা হওয়ার সহজ উপায় হল ডেটক্স ডায়েট। সাত দিনের এই 'প্রোগ্রাম'-এ প্রথম তিন দিন খেতে হবে শুধু ফল এবং তরল পানীয়। পরের বাকি দু'দিন হালকা করে রান্না করা শাক-সবজি। শেষ দু'দিনে থাকবে প্রোটিন অর্থাৎ মাছ, মাংস, ডিম।

৪. ডিউকান ডায়েট:- ডিউকান ডায়েট মানে খাবার চার্ট থেকে বাড়তি খাবার বাদ দিয়ে দেওয়া। এই ডায়েটে থাকে হাই প্রোটিন, কম ক্যালোরি, বাদ পড়ে অতিরিক্ত ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট।

৫. লো ফোডম্যাপ ডায়েট:- ফোডম্যাপ ডায়েট তৈরি করেন এক অস্ট্রেলীয় নিউট্রিশনিস্ট। এই ডায়েটে থাকে কিছু বিশেষ সবজি, ফল, দুধজাত খাবার, মাশরুম, ডাল, খুব অল্প পরিমাণে মিষ্টি খাবার। সব ধরণের ফল এক্ষেত্রে খাওয়া যাবে না। ফলের তালিকায় রাখতে হবে আঙুর, কলা, আনারস, কমলা লেবু, টমাটো।

৬. ব্লাড টাইপ ডায়েট:- এই ডায়েট চার্ট তৈরি হয় রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী। 'O' গ্রুপের লোকেরা মাছ, মাংস, সবজি সবরকম খেলেও একদম খেতে পারবেন না দুগ্ধজাত খাবার। 'B' গ্রুপের মানুষদের বাদ দিতে হবে মুরগীর মাংস, ভুট্টা, পি নাট। রোগা হতে হলে 'A' গ্রুপের লোকেদের হতে হবে শাকাহারি। চলবে না দুধ জাতীয় খাবার, পাঠার মাংস, বিয়ার।

৭.ওকিনাওয়া ডায়েট:- ওকিনাওয়া ডায়েট হল সবধরণের খাবারের ব্যালেন্স। এতে থাকে শাক-সবজি, ফল, মাছ, মাংস, শস্য, বাদাম ইত্যাদি।

৮. পালেও ডায়েট:- পালেও ডায়েট এক কথায় গুহা মানবের খাবার। এই ডায়েটে খাবারে থাকবে না কোনও তেল, মশলা। এমনকি নুনও। কার্বোহাইর্ড্রেট খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিতে হবে সবরকম প্রসেসড ফুড এবং ড্রিংকস।

.