আপনি কি খেতে খেতে ঢক ঢক করে জল খাচ্ছেন? তাহলে অবশ্যই পড়ুন
আপনি কি খেতে খেতে ঢক ঢক করে জল খাচ্ছেন? কিংবা খেয়ে উঠেই জল মাস্ট? আপনার কি যখন-তখন জল খাওয়ার অভ্যেস? ঘুমনোর আগে পেট ভরে জল খাচ্ছেন তো? ভুল করছেন। ইচ্ছেমতো জল খাবেন না। জল খান বুঝে, নিয়ম মেনে।
ওয়েব ডেস্ক: আপনি কি খেতে খেতে ঢক ঢক করে জল খাচ্ছেন? কিংবা খেয়ে উঠেই জল মাস্ট? আপনার কি যখন-তখন জল খাওয়ার অভ্যেস? ঘুমনোর আগে পেট ভরে জল খাচ্ছেন তো? ভুল করছেন। ইচ্ছেমতো জল খাবেন না। জল খান বুঝে, নিয়ম মেনে।
আমরাই দেখিয়েছিলাম, কম জল খেলেও যেমন ক্ষতি, বেশি জলও মারাত্মক। আমরাই দেখিয়েছিলাম, কম জল খেলে বারোটা বাজে শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের। শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গকে সুস্থ রাখতে জল মাস্ট। মাথা হোক বা চোখ, দাঁত হোক বা হার্ট, ফুসফুস হোক বা কিডনি, লিভার হোক বা পরিপাকতন্ত্র, রেচনতন্ত্র, খাদ্যনালি। জল কম খেলে সব নষ্ট। উল্টোটাও ঠিক। বেশি জল খেলেও বিপদ মারাত্মক।
আমরাই দেখিয়েছিলাম বেশি জল খেলে বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব, অতিরিক্ত প্রস্রাব এবং মাথাব্যথা হতে পারে। হার্টের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে। হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। কিডনির ছাঁকনি প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায় অতিরিক্ত জল। শরীরের কোষ ফুলতে থাকে। মাথার কোষও ফুলে যেতে পারে। পরিণাম ব্রেন স্ট্রোক। বুকে ব্যথা, লিভারের সমস্যা, পেটে যন্ত্রণা। প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল শরীরে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তাহলে সারাদিনে কতটা জল খাবেন?
চিকিত্সকরা বলছেন, যাঁর যত ওজন, তাকে ৩০ দিয়ে ভাগ করলে যে সংখ্যাটা বেরোবে, ঠিক তত লিটার জল দৈনিক পান করতে হবে তাঁকে।
কিন্তু, কখন কতটা জল খেতে হবে?
চিকিত্সকরা বলছেন, লাঞ্চ বা ডিনারের ৩০ মিনিট আগে জল খেতে হবে। হজমশক্তি বাড়বে।
খাবার খাওয়ার মাঝে ২ ঢোঁক জল খাওয়া যেতে পারে। তার বেশি নয়। কারণ, জল হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের সঙ্গে মিশে তার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে, খাবার হজম হয় না।
স্নান করার আগে ১ গ্লাস জল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চা বা কফি খাওয়ার আগে ১ গ্লাস জল খেলে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা থাকে না।
১ এপ্রিল থেকে কোন কোন জিনিসের দাম কমবে জেনে নিন
ব্যায়ামের ১০ মিনিট আগে ১ গ্লাস জল খেলে এনার্জি বজায় থাকবে।
ব্যায়ামের ২০ মিনিট বাদে ২ গ্লাস জল খেলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
সন্ধেয় টিফিন করার আগে ১ গ্লাস জল খেলে পেট আইঢাই করবে না।
টেনশনের সময় ১ গ্লাস জল খেলে অনেকটাই রিল্যাক্সড লাগবে।
ঘুমনোর আগে ১ গ্লাস জল খেলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে। তবে পেট ভরে জল খেলে বিপদ মারাত্মক। ইনসমনিয়ার মতো রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ে কিডনিতে। কারণ, ঘুমনোর সময় শরীর থাকে নিষ্ক্রিয়। এই সময় বেসাল মেটাবলিক রেট সবথেকে কম। ফলে, কিডনির ওপর চাপ পড়ে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ২ গ্লাস জল খেলে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। তাই জল খান মেপে। নিয়ম মেনে।