দেশে প্রতি ৬ ঘণ্টায় মুখের ক্যানসারে মারা যান একজন
ভারতে মুখের ক্যান্সারে প্রতি ৬ ঘণ্টায় মারা যান একজন। মুম্বইতে পিটিআইকে এই তথ্য জানান ভারতের ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অশোক ধোবলে।
ধোবলে জানান, গ্রামের দিকে এই ধরনের রোগের প্রায় কোনও চিকিত্সাই হয় না। ধুমপান ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ মুখের ক্যান্সারের ঘটনা ঘটে ভারতেই। গত এক দশকে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। সবথেকে বেশি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দারা। পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত ও তামিল নাড়ুতেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এইসব রাজ্য প্রতি ৩ জনে একজন ধুমাপায়ী বা তামাকজাত দ্রব্যে নেশাগ্রস্ত।
দেশের স্বার্থে কি তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা যেতে পারে না? প্রশ্নের উত্তরে ধোবলে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সমস্যাটা বোঝে। কিন্তু দেশের তামাকশিল্পের ওপর প্রচুর মানুষের জীবিকা নির্ভর করছে। তাদের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করাও সরকারের কর্তব্য। এক বিশিষ্ট দন্তচিকিত্সক জানালেন, মুখের ক্যান্সার শুধুমাত্র দাঁতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। জীব, ফ্যারিংক্স ও মাড়িকেও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে ১০০ শতাংশ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে গেলেই রোগীর হাতে মাত্র ৫ বছর সময়।