প্রত্যাশা বাড়িয়ে করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ শুরু করল মোদের্না!

প্রথম পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছে আগেই। এ বার করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ শুরু করলেন মার্কিন গবেষকরা।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: May 31, 2020, 04:40 PM IST
প্রত্যাশা বাড়িয়ে করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ শুরু করল মোদের্না!

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছে আগেই। এ বার করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ শুরু করলেন মার্কিন সংস্থা মোদার্নার গবেষকরা। মোট তিন পর্যায়ে মোদের্না আরএনএ ভ্যাকসিন (Moderna RNA vaccine)-এর ট্রায়াল চালানো হবে। তৃতীয় পর্যায়ের ‘হিউম্যান ট্রায়াল’-এর ফলাফল হাতে আসার পর বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

ইতিমধ্যেই মার্কিন সংস্থা মোদার্নার গবেষকরা দাবি করেছেন, প্রথম দফায় আটজন স্বেচ্ছাসেবকের উপর তাদের তৈরি করোনা প্রতিরোধী ওষুধ mRNA-1237 প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে। প্রথম ট্রায়ালের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০০ জনের উপর পরীক্ষা করা হবে mRNA-1237। জানা গিয়েছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই mRNA-1237 ওষুধটির দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সেরে ফেলতে চায় সংস্থা।

গবেষকদের দাবি, COVID-19-এর জেনেটিক কোড কাজে লাগিয়েই এই mRNA-1237 ওষুধটি তৈরি করেছে মোদার্না। সংস্থার দাবি, mRNA-1237 ওষুধটি সরাসরি ভাইরাসকে ধ্বংস না করলেও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। প্রথম দফার সাফল্যের পর এ বার আরও বড় সংখ্যক মানুষের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন মোদার্নার গবেষকরা।

প্রথম ট্রায়ালে mRNA-1237 ওষুধটির কতগুলি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। যখন ওষুধের ডোজ বাড়ানো হয়েছিল তখন বমি ভাব, জ্বর, পেশীতে সামান্য ব্যথা, মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি লক্ষ্য করেছেন সংস্থার গবেষকরা। mRNA-1237-এর মাঝারি ডোজ দেওয়ার পরে ত্বক লাল হয়ে গিয়েছিল অনেকের। তবে এই সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ২৪ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয়নি বলেই দাবি করেছে সংস্থা। গবেষকদের দাবি, এই ওষুধের মাঝারি ক্ষমতার ডোজেই সবচেয়ে ভাল ফল মিলেছে।

আরও পড়ুন: টিকা আবিষ্কারের পরেও বিশ্ব থেকে কোনও দিনই হয়তো সম্পূর্ণ নির্মূল হবে না করোনাভাইরাস!

ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে, সেটির সাহায্যে এই ভাইরাস ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে মোদার্নার গবেষকরা জানান, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীর থেকে সংগৃহিত অ্যান্টিবডির চেয়েও বহুগুণ শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে তাঁদের mRNA-1237 ওষুধটি।

.