শুধু ক্যান্সার নয়, গুটকা, খৈনির মতো তামাকজাত দ্রব্যগুলিও বাড়ায় প্রাণঘাতী স্ট্রোকের ঝুঁকি!

আজ বিশ্ব বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস! জেনে নিন প্রাসঙ্গিক কয়েকটি জরুরি তথ্য...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: May 31, 2020, 11:55 AM IST
শুধু ক্যান্সার নয়, গুটকা, খৈনির মতো তামাকজাত দ্রব্যগুলিও বাড়ায় প্রাণঘাতী স্ট্রোকের ঝুঁকি!

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই বড় করে ক্যানসার আক্রান্তের ছবি এবং সতর্কবার্তা থাকলেও ধূমপায়ীদের কেউই সেটিকে পাত্তা দেন না। মুম্বই, হায়দরাবাদ, অমদাবাদ, লখনউ আর কলকাতায় সমীক্ষা চালিয়ে জানা গিয়েছে যে, প্রতি সপ্তাহে ধূমপায়ীদের ধূমপানের জন্য গড়ে খরচ হয় ৩৪৮ টাকা।

সিগারেট ও তামাক সেবনকারীদের নিয়ে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানা গিয়েছে, কলকাতায় ধুমপায়ীর সংখ্যা সবথেকে বেশি। যেখানে কলকাতায় ধূমপায়ী ৪৯%, সেখানে দেশের বাকি অংশে ৪৩% ধূমপায়ী রয়েছেন। ধূমপান স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকারক, এ কথাটা সকলেই জানি। তবু এই অভ্যাস ছাড়তে হিমসিম খেতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। শুধু ধূমপানের অভ্যাসই নয়, যে কোনও তামাকজাত দ্রব্যের নিয়মিত সেবনের অভ্যাসই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর!

নাক, কান, গলা, মুখের মধ্যে ও জিভের ক্যানসারের সঙ্গে সঙ্গে গলা, স্বরযন্ত্র, ফুসফুস ইত্যাদি বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসারের অন্যতম কারণ তামাক। ধূমপান বা তামাক সেবনের ফলে গন্ধ বোধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, রক্তচাপ বৃদ্ধি ও হৃদ স্পন্দনের গতি বেড়ে যায়। এছাড়াও শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ধূমপান বা তামাক সেবনের ফলে রক্তের জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে। শুধু তাই নয়, চোখের নানা সমস্যা-সহ অন্ধত্বের আশঙ্কা বাড়ে ধূমপান বা তামাক সেবনের ফলে।

আরও পড়ুন: টিকা আবিষ্কারের পরেও বিশ্ব থেকে কোনও দিনই হয়তো সম্পূর্ণ নির্মূল হবে না করোনাভাইরাস!

১৯৮৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO ৩১ মে দিনটিকে ‘তামাক বিরোধী দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই প্রতি বছর ৩১ মে বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস। WHO জানিয়েছে, অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের নিয়মিত সেবনের অভ্যাসে স্ট্রোকের ঝুঁকি ধূমপানের চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি। ধূমপায়ীদের মধ্যেও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ইদানীং অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ধূমপান বা গুটখার মতো অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের নিয়মিত সেবনের ফলে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান বা গুটখার মতো অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাই প্রহল ইচ্ছাশক্তি ও মনের জোর। যুবসমাজকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করতেই প্রতি বছর পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস’।

.