উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে রক্ষী বিহীন অবস্থায় দীর্ঘ সময় পড়ে থাকল ইভিএম মেশিন, ধরা পড়ল ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়
ইভিএম নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ। উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের ইভিএমগুলি দীর্ঘ সময় কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। ইভিএমগুলি যে স্টোররুমে রাখা ছিল সেখানে ছিল না কোনও সশস্ত্র রক্ষী।
ইভিএম নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ। উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের ইভিএমগুলি দীর্ঘ সময় কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। ইভিএমগুলি যে স্টোররুমে রাখা ছিল সেখানে ছিল না কোনও সশস্ত্র রক্ষী।
কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেল। এই হস্টেলেই নির্বাচন কমিশনের স্টোর রুম। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের জন্য ইভিএম গুলি রাখা ছিল এই স্টোর রুমে। শনিবার স্টোর রুম থেকে ইভিএমগুলিকে স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কমিশনের নিয়ম মেনে সশস্ত্র পুলিসি পাহারা কই? অভিযোগটা এসেছিল চব্বিশ ঘণ্টার কাছে। পৌছে যাই আমরা। আমাদের প্রতিনিধি সটান ঢুকে যান ওই স্টোর রুমে। সেইসময় ইভিএমগুলিকে বের করে স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।ইভিএম নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ উঠল।
কলকাতার কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলে নির্বাচন কমিশনের স্টোর রুম থেকে উধাও হয়ে গেছে লগবুক। শনিবার কমিশনের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল সিপিআইএম। অভিযোগের সঙ্গে চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধির অভিজ্ঞতা মিলে যায় অনেকটাই। নিরাপত্তার ঢিলেঢালা বিষয়টি সামনে আসতেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দুর্গাদাস গোস্বামীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
শনিবার কমিশনের কাছে এব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিআইএম। আরও গুরুতর অভিযোগ বিজেপির। তাদের দাবি ওই স্টোর রুমে থাকা ইভিএমে কারচুপি হয়েছে। মারাত্মক এই দুই অভিযোগ শুনে চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধিরা হাজির হন এমএলএ হস্টেলের ওই স্টোর রুমে। আমাদের প্রতিনিধি সটান ঢুকে যান ওই স্টোর রুমে। সেইসময় ইভিএমগুলিকে বের করে স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই ছবিও তোলেন আমাদের প্রতিনিধিরা। কিন্তু কেউ কোনও বাধা দেননি। নিরাপত্তার এই ঢিলেঢালা ভাব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।