লাভপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত ২, নির্বাচনে সন্ত্রাসের আশঙ্কা
বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হলেন দু-জন। ঘটনাটি ঘটেছে লাভপুরের কুসুমগড়িয়া গ্রামে। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। লোকসভা ভোটে অশান্তির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হলেন দু-জন। ঘটনাটি ঘটেছে লাভপুরের কুসুমগড়িয়া গ্রামে। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। লোকসভা ভোটে অশান্তির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
শনিবার, এই ফতোয়া দিয়েছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। সোমবার, লাভপুরের কুসুমগড়িয়া গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বাঁধতে গিয়ে নিহত হলেন দুজন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সোমবার সকালে তৃণমূল কর্মী শেখ ইসমাইলের বাড়িতে জড়ো হয় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। চলছিল বোমা বাঁধা। বেলা এগারোটা নাগাদ ইসমাইলের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন তাঁরা। উড়ে যায় বাড়ির টিনের চাল।উদ্ধার হয় দুজনের ছিন্নভিন্ন দেহ। শেখ বরজাহান নামে দ্বারকা গ্রামের এক বাসিন্দাকে শনাক্ত করা হয়। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। তৃণমূল কর্মী শেখ ইসমাইল পলাতক। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া যায় প্রচুর বোমার মশলা।
ঘটনাস্থলে যান বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিস সুপার। যান বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শেখ ইসমাইলের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় একাধিক ব্যক্তিকে নিয়ে কয়েকজনকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন তাঁরা। বিস্ফোরণে আরও কেউ নিহত হয়েছেন কিনা বা আহতদের খুঁজে বের করতে পুলিস কোনও চেষ্টা করছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বীরভূমের লাভপুর, বোলপুর, ময়ূরেশ্বর এলাকায় চারজন নিহত হয়েছিলেন। সোমবার বোমা বাঁধতে গিয়ে হতাহতের ঘটনা লোকসভা ভোটে অশান্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।