বারুর পর কয়লা সচিব পিসি পারেখ, ফের বই বোমায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস

ফের বই-বোমায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টার সঞ্জয় বারুর পর এবারে প্রাক্তন কয়লা সচিব পিসি পারখের বই নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাল্টা আক্রমণ করেছে কংগ্রেসও। টাকা ছড়িয়েই মোদী শিবির এধরণের বিতর্ক তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন দ্বিগ্বিজয় সিং। সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে প্রাক্তন কয়লা সচিব পিসি পারখের বই "ক্রুসেডার অর কনস্পিরেটর : কোলগেট অ্যান্ড আদার ট্রুথ` । কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে লেখা বইটিতে পারখের দাবি, প্রধানমন্ত্রী হলেও রাজনৈতিকভাবে কোনও ক্ষমতাই ছিল না মনমোহন সিংয়ের হাতে।

Updated By: Apr 14, 2014, 09:41 PM IST

ফের বই-বোমায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টার সঞ্জয় বারুর পর এবারে প্রাক্তন কয়লা সচিব পিসি পারখের বই নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাল্টা আক্রমণ করেছে কংগ্রেসও। টাকা ছড়িয়েই মোদী শিবির এধরণের বিতর্ক তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন দ্বিগ্বিজয় সিং। সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে প্রাক্তন কয়লা সচিব পিসি পারখের বই "ক্রুসেডার অর কনস্পিরেটর : কোলগেট অ্যান্ড আদার ট্রুথ` । কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে লেখা বইটিতে পারখের দাবি, প্রধানমন্ত্রী হলেও রাজনৈতিকভাবে কোনও ক্ষমতাই ছিল না মনমোহন সিংয়ের হাতে।

লোকসভা নির্বাচনে কঠিনতম লড়াইয়ের মুখে কংগ্রেস। আর তখনই কংগ্রেসকে রীতিমত বেকায়দায় ফেলে দিল একটি বই। দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার--`দ্য মেকিং অ্যান্ড আনমেকিং অফ মনমোহন সিং` নামের বইটি লিখেছেন সঞ্জয় বারু। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বারু তাঁর বইয়ে বলেছেন, "দ্বিতীয় দফার ইউপিএ সরকারে নামেই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। আমলা নিয়োগ থেকে শুরু করে যাবতীয় সিদ্ধান্তই নিতেন সোনিয়া গান্ধী।"

তাঁর ২০১ পাতার বইয়ে সঞ্জয় বারু আরও বলেছেন, ১০ জনপথের কাছে কার্যত আত্মসমর্পণ করেছিলেন মনমোহন সিং। যদিও বিবৃতি প্রকাশ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তত্কালীন পদের সুযোগ নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন বারু। তার যাবতীয় কথাই ভিত্তিহীন। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাজারি ফয়দার জন্যই এসব কথা বলেছেন সঞ্জয় বারু। স্বভাবতই লোকসভা ভোটের সময় সঞ্জয় বারুর এই বই প্রকাশে আহ্লাদিত বিজেপি। বহুদিন ধরেই মনমোহন সিংকে দুর্বল প্রধানমন্ত্রীর তকমা দিয়ে আসছিল তারা। তবে কংগ্রেসের তরফে এনিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

.