Tota Roy Chowdhury: 'রিয়েল পছন্দ, নিজেই স্টান্ট করেছি', অভিজ্ঞতা জানালেন 'ফেলুদা' টোটা
''নিজেই ওই দৃশ্যটির শ্যুট করি। প্রায় ৯-১০ বারের মতো লাফাতে হয়েছে। খাদ কিন্তু বেশ গভীরই ছিল।''
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের একবার 'ফেলুদা' (Feluda) র বেশে হাজির টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury)। সৌজন্যে সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijt Mukherji) পরিচালিত 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি'র নতুন গল্প 'দার্জিলিং-এ জমজমাট'। সম্প্রতি সামনে এসেছে এই সিরিজের ট্রেলার। সেখানে যে দৃশ্যটি দর্শকদের নজর কেড়েছে তা হল দার্জিলিং-এর রাস্তায় অ্যাকশন চলাকালীন হঠাৎই খাদের দিকে ফেলুদাকে ঠেলে দেওয়া হয়। অনেকেই হয়ত জানেন না, সেই ঝাঁপ মারার দৃশ্যটি কোনও স্ট্যান্ট ম্যান নয়, টোটা নিজেই করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাই Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে শেয়ার করলেন টোটা রায় চৌধুরী।
টোটা রায় চৌধুরীর বলেন, ''সৃজিত তো কৃত্রিম বিষয় বিশেষ পছন্দ করে না। ওই স্টান্টটি নিয়ে সৃজিত আমায় বলেছিল, এটা তুমি করতে পারলে ভালো হয়। যদিও তামিল ছবির একজন স্টান্ট ম্যানকে আনা হয়েছে, তুমি যদি করবে না বলো, তাহলে ওনাকে দিয়ে করাতে হবে। তখনই বলেছিলাম, স্টান্ট আমিই করব। নিজেই ওই দৃশ্যটির শ্যুট করি। প্রায় ৯-১০ বারের মতো লাফাতে হয়েছে। খাদ কিন্তু বেশ গভীরই ছিল। ট্রেলারে তার কিছুটাই দেখা গেছে। ওই লাফটার থেকেও বড় কথা ঝোঁপের উপর লাফাতে হবে। কারণ গল্পে ছিল ঝোঁপটা ছিল বলেই ফেলুদা বেঁচে যান। আর চা গাছের ঝোঁপগুলো কিন্তু বেশ ধারালো হয়। আমার বাম পায়ে প্রায় ৩-৪টে জায়গায় ক্ষত হয়েছিল। তবে ঠিক আছে ফেলুদা (হাসতে হাসতে)র জন্য এটুকু কষ্ট করাই যায়। স্টান্ট করার সময় একটা সেফটির ব্যবস্থা নিয়েই আমরা কাজ করি, তবে সেগুলো ৫০-৫০ কাজ করে। তবে যিনি স্টান্ট মাস্টার ছিলেন তিনি খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ঠিক কীভাবে কী করতে হবে।''
আরও পড়ুন-চোখের পাতা পড়ছে না, হাসতেও পারছেন না, পক্ষাঘাতে আক্রান্ত জাস্টিন বিবার
সৃজিত তো বলেছেন তুমি ফিট বলেই তোমায় ফেলুদা হিসাবে বাছা হয়েছে। একথায় হেসে ফেলে টোটা বলেন, ''হ্যাঁ এটার জন্য মোটামুটি ফিট তো থাকতেই হয়। আমি সৃজিতকে বলেছি, ছোটথেকে তাহলে আমার ব্যায়াম করাটা সার্থক হয়েছে বলো। ''বাংলার অভিনেতাদের সচারচর নিজে স্টান্ট করতে দেখা যায় না। সেকথা প্রসঙ্গে টোটা বলেন, ''ওই ফাঁকিবাজিতে আমি বিশ্বাস রাখি না। আমি রিয়েল, আমার অভিনয়টাও রিয়েল হবে, আর স্টান্টটাও রিয়েল হবে। আমি পরিচালকদের বলেই দি, আমার কথা ভাবলে আগে থেকে বলবেন আমি নিজেকে তৈরি করব।'' টোটা আরও বলেন, ''সৃজিতের সঙ্গে কাজ করে বুঝেছি, ছোট হলেও অ্যাকশন দৃশ্য থাকবেই। আর ও যোগ ব্যায়াম দেখাবেই। আমি যোগ ব্যায়াম ছোট থেকেই করি, তবে ফেলুদার জন্য প্রায় ৬ সপ্তাহ আগে থেকে একটা প্রস্তুতি নিয়েই নি।''
সৃজিতের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে টোটা রায়চৌধুরী বলেন, ''ওঁর সঙ্গে কাজ করাটাই একটা অ্যাডভেঞ্চার। কারণ কাজের জন্য ওর একটা ম্যাড প্যাশান কাজ করে। আর আমাদেরও ওঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। প্রায় ১৪ দিন শ্যুট করেছি, রোজ ৩.৩০, ৪.৩০-এর মধ্যে উঠে পড়তে হত। ও পারলে সারাদিনই শ্যুট করে (হাসতে হাসতে)।''