Swastika Mukherjee: 'অপেক্ষা আমার সারাক্ষণের সঙ্গী', বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি স্বস্তিকার...
Swastika Mukherjee: কিছুদিন আগেই জি ২৪ ঘণ্টার এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন যে তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ভয় ছিল বাবা-মাকে হারানো। এখন আর সেই ভয় নেই। বাবা-মা দুজনেই প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু বাবা-মা না থেকেও রয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রীর সঙ্গে। বাবার জন্মদিনে আবেগঘন স্বস্তিকা লিখলেন খোলা চিঠি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২০ সালে প্রয়াত হন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়(Santu Mukherjee)। আগেই হারিয়েছিলেন মা-কে, বছর পাঁচেক আগে বাবাকেও হারান স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। কিছুদিন আগেই জি ২৪ ঘণ্টার এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন যে তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ভয় ছিল বাবা-মাকে হারানো। মুম্বই থেকে কলকাতা প্রায় সবসময়ই অভিনয়ের কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী তবে প্রতি মুহূর্তেই বাবার অনুপস্থিতি অনুভব করেন স্বস্তিকা। আজ তথা ১৩ জানুয়ারি সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। এদিন নেটপাড়ায় বাবাকে খোলা চিঠি লিখলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন- Fossils: ফসিলসের প্রাক্তন চন্দ্রমৌলির আত্মহত্যার খবর! 'কল্পনা করতে পারিনি..', শোকাহত রূপম
প্রথমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বস্তিকা লেখেন, 'হ্যাপি বার্থডে বাবা। কোথায় আছো সে তো জানিনা, কে আলমারি থেকে নতুন জামা বের করে জোর করে পরিয়ে দেবে তাও জানিনা। আশা করি কেউ নিশ্চয়ই আছে, আমার মতন করে তোমায় আগলে রেখেছে। প্রতি বছরের মতন, এবারেও নতুন ফতুয়া-লুঙ্গি পরো। খাদির দোকানে গেলে, গেরুয়া রং এর কোনও কাপড় দেখলেই মনে হয় তোমার জন্য একটা পাঞ্জাবি বানাতে দি, তার পর মুহূর্তেই মনে পড়ে তুমি তো নেই। আজ সন্ধে নামলে দু পাত্তর ব্যালেন্টাইন খেও। কত ভালবাসতে। পৃথিবীর এত জায়গায় যাই, যত ভালো স্কচই কিনে আনি না কেন সেই ব্যালেন্টাইন টাই সেরা'।
অভিনেত্রী আরও লেখেন, 'তোমার আর মা-এর না থাকাতে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া, লোকজন এর আসা যাওয়া, আনন্দ উৎসব প্রায় উঠে গেছে বললেই চলে। ঠিক ওই গান টার মতন - এত আনন্দ আয়োজন সবই বৃথা তোমায় ছাড়া। ১৩ ই জানুয়ারি- এই দিনটা আমার কাছে আজীবন “আমার বাবার জন্মদিন” হয়েই রয়ে যাবে। অবশ্য শুধু একটা দিন কেন? বাকি বছরের অজস্র দিনগুলো ও তোমাদের দুজনের দিন হয়েই রয়ে গেছে। জন্মদিন, বেড়াতে যাওয়ার দিন, অসুখ করার দিন, হাসপাতালে যাওয়ার দিন, সেখান থেকে ফেরার দিন, না ফেরার দিন এইসব'।
আরও পড়ুন- Urvashi Rautela: 'বাবার বয়সী হিরোর সঙ্গে এ কী অশ্লীল নাচ'! ফের বিতর্কে উর্বশী...
স্বস্তিকার মতে তাঁর জীবনটাই দুটো টাইমলাইনে বিভক্ত - তখনও মা ছিল, তখন আর মা ছিল না। তখনও বাবা ছিল, তখন বাবা ছিল না। এরপরেই বাবার উদ্দেশ্যে লেখেন, 'আর কটা দিন থেকে গেলে পারতে বাবা - না হয় অনেক রাত অব্দি জমিয়ে আড্ডা মারতে মারতে, লোকজন এর গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে দু পেগ হুইস্কি খাওয়ার জন্যই রয়ে যেতে। না হয়, ব্রাজিল - আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখে চিৎকার করার জন্য রয়ে যেতে। না হয়, দরবেশ, ক্ষীরকদম্ব, মনোহরা, সীতাভোগ দের জন্য রয়ে যেতে। ভাত রুটির শেষ পাতে রোজ একটু মিষ্টি খাওয়ার পাট ও চুকে গেছে। বাড়িতে আর মিষ্টি কেনা হয় না। তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা। তুমি তো ঈশ্বরের কাছে আছো, তুমি ওনাকে বোলো, এই জন্মে হোক বা পরের জন্মে, বা দু জন্মের সন্ধিক্ষণে আমাদের দেখাটা যেন হয়। কত কথা জমে আছে বাবা। এক পাহাড়'।
চিঠির শেষে স্বস্তিকা লেখেন, 'আজ তোমার ফেভারিট ব্রুট পারফিউমটা মেখেছি, তোমার জন্মদিনে তোমার গায়ের গন্ধ থাকুক গায়ে। রোজ ঘুমোতে গেলে ভাবি, চোখ খুললেই হঠাৎ যদি তোমায় দেখতে পাই, জড়িয়ে ধরে বসে থাকবো, অনেকক্ষন। বেশি কিছু চাই না, এই টুকুই। কখনও এলে ভেবলি বলে ডেকো বাবা, ঠিক বুঝে নেব তুমি ডেকেছ। ভালো থেকো - তোমার পথে ঝলমলে আলো থাক, ইউডি কোলনের গন্ধ থাক, অনেকটা যত্ন আর ভালোবাসা থাক। আমার কাছে অপেক্ষা থাক, আমার সারাক্ষণের সঙ্গী'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)