নগরকীর্তন, হলদে গোলাপের চলচ্চিত্রায়ন নয়: স্বপ্নময় চক্রবর্তী
হলদে গোলাপ মূলত গবেষণাধর্মী উপন্যাস এটি প্রেমের কাহিনি।
শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি 'নগরকীর্তন'-এর সঙ্গে নাকি তাঁর লেখা উপন্যাস 'হলদে গোলাপ'-আত্মস্থ করে বানানো। লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তীর ফেসবুক পোস্টের এই দাবির ভিত্তিতে 'নগরকীর্তন' ছবি ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। এখানেই শেষ নয়, স্বপ্নময় চক্রবর্তীর আরও দাবি ছিল, এর আগেও পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় আবুল বাশারের 'নরম হৃদয়ের চিহ্ন' উপন্যাসটি নীরবে নিয়ে 'শূন্য এ বুকে' (২০০৫) ছবিটি বানিয়েছিলেন। প্রয়োজন হলে বাশারকে ফোন করে জেনে নেওয়ার কথাও বলেন স্বপ্নময় বাবু।
আরও পড়ুন-বায়ু সেনা ও মোদীকে সমর্থন, পাকিস্তানিদের বিদ্রুপের শিকার আদনান
লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তী এমন ফেসবুক পোস্টের পরই অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরনের কথা লিখে পোস্ট করতে থাকেন। তৈরি হয় বিতর্ক। অনেকেই স্বপ্নময় বাবুর এই পোস্টের প্রেক্ষিতে নানান মন্তব্য করতে থাকেন।
আরও পড়ুন-প্রকাশ্যে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় অভিনীত 'দ্বিখণ্ডিত'র ট্রেলার
আরও পড়ুন-নিজের গাওয়া বন্দে মাতরম্ গানে বায়ুসেনাকে শ্রদ্ধা জানালেন সুর সম্রাজ্ঞী
এবিষয়ে Zee 24 ঘণ্টার তরফে শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায় পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জানতে চান, দুটি চরিত্রের নামে এমন মিল হয় কী করে? পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ''পরীর মতো দেখতে তাঁকে এখন পরি থেকে পরিতোষ হতে পারত বা পরিমল। পরিমল নামটি বেশি পেলব, তাই তিনি পরিমল নামটি বেছে নেন।''
পরে এই একই বিষয়ে শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়ের তরফে লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে লেখক জানান, ''নগরকীর্তন, হলদে গোলাপের চলচ্চিত্রায়ন নয়। বেশকিছু ঘটনা এবং পরিবেশগত সামঞ্জস্য থাকলেও এটা আলাদা ছবি এবং ভালো ছবি। পরিণতি সম্পূর্ণ আলাদা। হলদে গোলাপ মূলত গবেষণাধর্মী উপন্যাস এটি প্রেমের কাহিনি। বিতর্ক থাক। আমি চাই যে কোনও সমাজ মনস্ক শিল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকা উচিত।''
আরও পড়ুন-পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ান জিৎ রামের স্ত্রীকে ১৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য অক্ষয়ের