Sabyasachi Chowdhury-Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলা নেই, ‘ইউটিউবের সৌজন্যে আমিও মারা গিয়েছি’, বিস্ফোরক অভিযোগ সব্যসাচীর
Sabyasachi Chowdhury-Aindrila Sharma: ২১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন ঐন্দ্রিলা, তাঁকে একবারের জন্যই কাছছাড়া করেননি সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর কেমন আছেন সব্যসাচী, তা জানতে উদগ্রীব সকলেই।
Sabyasachi Chowdhury-Aindrila Sharma, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঐন্দ্রিলা চলে গেছে প্রায় ১০ দিন হল। এই ১০ দিনে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে তাঁকে নিয়ে নানা খবরে। পুরনো সমস্তই ভিডিয়োই প্রায় আবারও উঠে এসেছে মিডিয়ায়। কোথাও ঐন্দ্রিলা বলছে তাঁর যুদ্ধের কথা, কোথাও আবার ঐন্দ্রিলার মুখে উঠে এসেছে তাঁর প্রেমিক বন্ধু সব্যসাচীর কথা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়া ত্যাগ করেছেন সব্যসাচী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে আর কোনওদিন তিনি লিখবেন না। যে ২১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন ঐন্দ্রিলা, তাঁকে একবারের জন্যই কাছছাড়া করেননি সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর কেমন আছেন সব্যসাচী, তা জানতে উদগ্রীব সকলেই।
এক ইউটিউব চ্যানেলের দাবি, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সব্যসাচী। সত্যিই কী তাই? এই ঘটনার সত্যতা জানতে এক সংবাদমাধ্যম সব্যসাচীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব্যসাচী শোনান এক বিস্ফোরক অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘ইউটিউবের সৌজন্যে দিন কয়েক আগে নাকি আমিও মারা গিয়েছি!’ যদিও আর কোনও কিছুই বলতে চাননি তিনি। তবে এই কথাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ার ভুল ও অনৈতিক খবরে কতটা বিরক্ত তিনি।
আরও পড়ুন-Subhamita Banerjee : 'বিচারকের আসনে বসার হয়ত যোগ্যতা নেই, তাই রিয়্যালিটি শো আমায় ডাকে না...'
অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বোনের একাধিক পুরনো ভিডিয়ো শেয়ার করছেন দিদি ঐশ্বর্য শর্মা। বোনকে নিয়ে লিখেওছিলেন ঐশ্বর্য। তিনি লিখেছিলেন যে তিনি ঐন্দ্রিলার অপেক্ষায় থাকবেন। ‘অনেকদিন তো হলো,এবার তাড়াতাড়ি চলে আই বুনু। তুই ছাড়া আমি যে পঙ্গু। কে আমাকে সাজিয়ে দেবে বলতো? কে আমার ছবি তুলে দেবে? কে না বলা মনের কথা গুলো আমার মুখ দেখে বুঝে যাবে? কে আলাদিনের আশ্চর্য্য প্রদীপ এর মতো আমার সমস্ত মনের ইচ্ছে পূরণ করবে? কার সাথে আমি ঘুরতে যাবো? কার সাথে পার্টি করবো? কার সাথে আমি সারারাত জেগে সিনেমা দেখবো গল্প করবো? কে আমাকে সঠিক পরামর্শ দেবে? আমাদের এখনো কত প্ল্যান্স বাকি আছে বলতো? কে আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসবে? কে আমার জন্য পুরো পৃথিবী র সাথে লড়বে,আমাকে আগলে রাখবে? আমার যে তুই ছাড়া আর কোনো বেস্ট ফ্রেন্ড নেই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছর এ আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখিনি বুনু। আমি জানি তুই সাবলম্বী কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আই বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।‘ শুধু দিদিই নয়, তাঁর মাও মেয়ের নানা ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছেন যে, ‘এখন এই স্মৃতি নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে।’