SVF Vs Priya Cinema: বাংলা ছবি সরিয়ে হলে হিন্দি ছবি চালানোর চাপ! ট্যুইট যুদ্ধে মহেন্দ্র সোনি-অরিজিৎ দত্ত
Tollywood Vs Bollywood: 'একটি বাংলা প্রযোজনা সংস্থা সিনেমা হলকে প্রেসার দিচ্ছে যে একটি বাংলা সিনেমাকে সরিয়ে সেখানে তাঁদের আগামী বলিউডের ছবিকে যেন জায়গা দেওয়া হয় এবং আগামী সপ্তাহে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবিকে না দেখানোর জন্য চাপ দেয়', অভিযোগ প্রিয়া সিনেমার কর্ণধার অরিজিৎ দত্তের
Tollywood Vs Bollywood, SVF, Priya Cinema, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া কোভিডের পরে সেঅর্থে কোনও বাংলা সিনেমাই 'সুপারহিট' তকমা পায়নি। বেশিরভাগ ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে। ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’, এ কথা প্রায়ই শোনা যায় প্রযোজক, পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা অভিনেত্রী সকলের মুখেই। এরকম অবস্থায় বাংলা ছবি সরিয়ে সিনেমা হলে জায়গা করে নিচ্ছে হিন্দি ছবি। কিন্তু এই অভিযোগও নতুন নয়, এর আগেও এই অভিযোগ শোনা গেছে। তবে সোমবার সকালে নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটালেন প্রিয়া সিনেমার কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত।
আরও পড়ুন: Nusrat Jahan: ‘কেন মুসলিম বিয়ে করেননি?’ ভক্তের প্রশ্নে বিরক্ত নুসরত দিলেন যোগ্য জবাব
অরিজিৎ দত্ত যিনি তাঁর ডাকনাম দাদুল নামেই ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত, সোমবার তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক দিন যখন একটি বাংলা প্রযোজনা সংস্থা সিনেমা হলকে প্রেসার দিচ্ছে যে একটি বাংলা সিনেমাকে সরিয়ে সেখানে তাঁদের আগামী বলিউডের ছবিকে যেন জায়গা দেওয়া হয় এবং আগামী সপ্তাহে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবিকে না দেখানোর জন্য চাপ দেয়’। মূলত বাংলা ছবিকে সরিয়ে হিন্দি ছবি দেখানোর এই চাপ দেখে মন ভেঙেছে অরিজিতের। যদিও কারোর নাম নেননি তিনি, তবুও তাঁর ট্যুইটের জবাব দিয়েছেন এসভিএফের অন্যতম কর্ণধার প্রযোজক মহেন্দ্র সোনি।
আরও পড়ুন: Subhashree-Raj-Yuvaan: ৩-এ পা ইউভানের, বিদেশে ছেলের জন্মদিন উদযাপন রাজ-শুভশ্রীর
মহেন্দ্র সোনি অরিজিতের ট্যুইটের প্রত্যুত্তরে লিখেছেন, ‘টিপিক্যাল অরিজিৎ দত্ত ট্যুইট! কেউ আপনাকে চাপ দিতে পারে না। এমনকী, এর একটা অন্যদিকও আছে। গরিব বাঙালি প্রযোজকদের থেকে হলের ভাড়া কম করার নামে তাঁদের ছবিতে আপনি অভিনয় করার একটা সুযোগ পান। এক্ষেত্রে বাংলা ছবির জয় হয়! আপনার সার্ভিসের জন্য ধন্যবাদ দাদুলদা।’ এই ট্যুইটের উত্তরে প্রযোজক রাণা সরকার লেখেন, ‘দাদুলদার হলের ভাড়া বাংলা ছবির জন্য বেশি হলেও দাদুলদা বরাবরই বাংলা ছবিকে সাপোর্ট করেন। যদি তাঁকে সত্যিই চাপ দেওয়া হয়, তাহলে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর প্রতিবাদ করছি। আর ভাড়া কম প্রসঙ্গে, আমরা জানতে চাই কিউব বা ইউএফও-র ভাড়া নিয়ে কী বলবেন মহেন্দ্র সোনি? এর জন্য কে দায়ী?’ যদিও এরপর আর এই বিষয়ে কথা বলতে চাননি অরিজিৎ দত্ত। তিনি লিখেছেন, ‘এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না।’ মহেন্দ্র সোনি তারপর লিখেছেন, ‘এক্সাক্টলি’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফ থেকে অরিজিৎ দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে চাননি। তিনি জানান যে ‘’‘লক্ষ্মী ছেলে’ সরিয়ে একটি বলিউডের ছবি চালাতে চায় এসভিএফ। তবে আমি আর এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নোংরামি আমার পছন্দ নয়, আমি ভদ্র। আমি শুধুমাত্র আমার খারাপ লাগাটা শেয়ার করেছি। বাকি ওই ট্যুইটের নীচেই সকলে কমেন্টে লিখছেন। সেটাই সত্যি।” এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘মুভি ভালো মানের যদি হয় তাহলে যেই সিনেমা আসুক সেটা চলবে কাউকে হলের জন্যে কান্নাকাটি করতে হবে না। মুভি খারাপ বানিয়ে হল নেই বলে নাকে কান্না করে লাভ নেই। আগে ভালো মুভি বানিয়ে তারপর বলুন হল দেওয়া হয়নি। লোকে তখন পাশে এসে দাঁড়াবে, নিজের ঢোল নিজে পেটানো বন্ধ করুন’। অন্য আরেক নেটিজেন লেখেন, ‘এই মোহতা, সোনি ও ধানুকারা বাংলা সিনেমার নিরন্তর ক্ষতি করে চলেছে। এরা চায় হল থেকে বাংলা সিনেমা নামিয়ে হিন্দি সিনেমা চালাতে। কারণ ব্রম্ভাস্ত্রর ডিস্ট্রিবিউটর এরা। এরাই Cube র মাধ্যমে প্রোজেকশন সিস্টেমের দাম বাড়িয়ে বাংলা সিনেমার হল পেতে খরচ বাড়ায়৷ ধিক্কার তোদের।’