ছোট্ট করিনা, রণবীরকে আদরে ভরিয়ে দিচ্ছেন দাদু রাজ কাপুর, দেখুন ভিডিও
ছেলেবেলার একটি ভিডিও দেখে আপ্লুত করিনা...
নিজস্ব প্রতিবেদন: সালটা ২০১১, সিমি গারেওয়ালের একটি টক শোতে এসেছিলেন করিনা কাপুর। আর সেই শোয়েই করিনাকে তাঁর ছেলেবেলার একটি ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সিমি গারেওয়াল। কিছুক্ষণের জন্য ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কাপুর ম্যানসনে একটি দোলনা বসে রয়েছেন স্বনামধন্য অভিনেতা রাজ কাপুর। যাঁকে কিনা ভারতীয় চলচ্চিত্রের পথ প্রদর্শক বলা হয়। ভিডিওতে সেই রাজ কাপুরের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁর নাতি নাতনি দের। রয়েছেন রাজ কপুরের নাতনি করিনা কাপুর (রণধীর কাপুরের মেয়ে), ঋদ্ধিমা কাপুর ও নাতি রণবীর কাপুর ( ঋষি কাপুরের মেয়ে ও ছেলে) সেই ছোট্ট করিনা, ঋদ্ধিমা ও রণবীরকে আদরে ভরিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে রাজ কাপুরকে। বিভিন্ন নাতি নাতনিদের সঙ্গে মজা, হাসি ঠাট্টায় মজে উঠেছেন অভিনেতা। তাঁদের সঙ্গে একসঙ্গে দোলানাতেও ঝুলতে দেখা যাচ্ছে রাজ কপুরকে। তবে এই ভিডিওতে দেখা গেল না শুধু করিনার দিদি করিশ্মা কাপুরকে। দেখুন সেই দুষ্প্রাপ্য ভিডিও।
ছোট্ট করিনার এই ভিডিও দেখে আপ্লুত হয়ে গেছেন খোদ করিনাও। ভিডিওটি দেখার পর তিনিও তাঁর দাদুর সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত শেয়ার করেন সঞ্চালিকা তথা অভিনেত্রী সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে। শোয়ে এসে করিনা বলেন, রাজ কাপুর নাকি তাঁর থেকে দিদি করিশ্মাকে বেশি ভালোবাসতেন। করিনা বলেন, তাঁর দিদি করিশ্মা ছোট থেকেই সুন্দর ছিলেন। তাঁর নীল চোখ মন কাড়ত। পাশাপাশে বেবো বলেন, দিদির জন্য দাদু চকোলেট, আম আনত। রাজ কাপুরের ঘরে ফ্রিজের মধ্যে রেখে ম্যাঙ্গো জুস খেত লোলো (করিশ্মা কাপুর)। সেই ফ্রিজে লোলো ছাড়া কারোর হাত দেওয়া বারণ ছিল। কিছুটা আক্ষেপের সুরে করিনা বলেন আমি সেসব পেতাম না। তবে দাদুকে তিনিও ভীষণ ভালোবাসতেন বলে জানা করিনা।
২০১৩ বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্কের এক শোয়ে গিয়েছিলেন রণবীর কাপুর। সেই শোয়ে তাঁর দাদু রাজ কপুরের স্মৃতি চারণায় রণবীরের সঙ্গে তাঁর একটি ভিডিও দেখানো হয়।
২০০৯ সালে করিশ্মা কাপুরকেও 'সারপ্রাইজ' হিসাবে তাঁর ও তাঁর বোন করিনার ছোটবেলার একটি ভিডিও তুলে ধরা হয়। ভিডিওটি দেখা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় করিশ্মাও।
বর্তমানে দাঁড়িয়ে করিনা, করিশ্মা, রণবীর ঋদ্মিমা কাপুররা আজ অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছেন। এরা সকলেই বলিউডে নিজের কেরিয়ারে সফল। তবে রণবীরের দিদি ঋদ্ধিমা অবশ্য অভিনয়ে আসেননি। জুয়েলারি ডিজাইনকেই তিনি পেশা হিসাবে বেছে নেন।