Ritwick Chakraborty: লকডাউনে অন্তরের দিকে চেয়ে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেলাম: ঋত্বিক
রান্নাও করেছি, বেক করেছি প্রচুর: ঋত্বিক
অনসূয়া বন্দ্যোপাধ্য়ায়
প্রশ্ন: কোভিডের জন্য অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ অনেকদিন তোমায় দেখেন নি ফ্যানেরা । কেমন করে কাটছে?
ঋত্বিক: সাবধানে থাকছি। এখন যা অবস্থা মানিয়ে নিয়ে চলছি সত্যি অনেকদিন কাজ করিনি। আবার আস্তে আস্তে স্রোতে ফেরার চেষ্টায়, বইতে তো হবেই।
প্রশ্ন: তোমার এই লুকটাও বেশ অন্যরকম বারবার তুমি লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট কর।
ঋত্বিক: একটা চরিত্রে প্রবেশ করার জন্য নিজেকে চরিত্রের লুকে দেখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি, তাই লুক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই চরিত্রটি একজন জেলারের, আর ১৯৩০ এর সময়, তাই পেশার কারণেই একটি বিশেষ লুকের প্রয়োজন। গোফ রেখেছিলাম, পরিচালক পছন্দ করেছে এই লুক।
প্রশ্ন: মুক্তির শুটিংয়ে তোমরা অনেক রিয়েল লোকেশনে শুটিং করেছ, সব যায়গারই ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট রয়েছে। শুটিং চলাকালিন কতটা আবেগ কাজ করেছে?
ঋত্বিক: হ্যাঁ আমরা আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে শুটিং করেছি। স্বাধীনতার সময় অনেক বিপ্লবী এখানে ছিলেন, তিনজনের ফাঁসিও হয়েছে এইখানে এর আগে তো কখনও জেলে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় নি (হেসে)। এই প্রথম দেখলাম এবং আমরা সকলেই আবেশের মধ্যে ছিলাম। অদ্ভুত এক অনুভূতি।
প্রশ্ন: ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্থ জেলারের চরিত্রে অভিনয়, কতটা দাগ কাটবে তোমার ফ্যানদের মনে?
ঋত্বিক: কাজের সময় কাজই করেছি, আমার সব ছবির মত। আমায় নিজেকে সামনে থেকে দেখার থেকে আমায় পর্দায় দেখা অনেক মজার বলে আমার মনে হয়, নতুনভাবে আসছি আবার। আশা করি ভাল লাগবে সকলের।
প্রশ্ন:করোনার জন্য অনেক ছবি আটকে রয়েছে, তোমার অনেক ছবিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝুলিতে কী কী রয়েছে একটু বল?
ঋত্বিক: রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’ মুক্তি আবারও পিছিয়ে গেল এর আগের বছর মুক্তির কথা ভাবা হয়েছিল, তখনও করোনার প্রকোপে ছবির মুক্তি আটকে যায়। ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরির ‘মায়ার জঞ্জাল’, সৌকর্য ঘোষালের ‘ভূতপরী’, কৌশিক গাঙ্গুলির ‘কবাডি কবাডি’, বেশ কয়েকটি ভাল ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রশ্ন:কোভিডের সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছ, নিজের সঙ্গেও অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে, এই সময়টাকে কীভাবে দেখলে?
ঋত্বিক: কাজ ছাড়া আমি পরিবারের সঙ্গেই কাটাই। তবে এই কঠিন সময় সকলেই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কাছের মানুষকে হারিয়েছেন। সত্যিই কাজের চাপে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো হয় না, অন্তরের দিকে তাকিয়ে ঋত্বিককে নতুন করে চিনলাম। আমি নানান রকম বেকিং করেছি, গাছের প্রতি খুব ভালবাসা তৈরি হয়েছে। এই সময়টাই কখনও পেতাম না, কোভিড দিল, আমি গাছের প্রতি অনেক মেথোডিকাল হয়ে গেছি, গাছের যত্গান নিতে আমি এক্সপার্ট, গাছের সঙ্গেও প্রচুর সময় কাটিয়েছি।ভাল গুলো থেকে যাবে আজীবন।
প্রশ্ন: বড়পর্দা বনাম ওটিটি, এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা। তোমার কী মনে হয় প্রেক্ষাগৃহে দর্শক কম যাচ্ছে কী ওটিটিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন বলে? সম্প্রতি তোমার গোরা বহুল প্রশংসিত, আবার এই ছবিও মুক্তি পাচ্ছে ওটিটিতে। আর ছেলেকে বেড়ে উঠতেও দেখলাম।
ঋত্বিক: সিনেমার জমির কিছুটাতে ওটিটি দখল বসিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমার মনে হয় ওটিটি ওর জায়গা করে নেবে। তবে সিনেমার দর্শক আলাদা একদমই। আমার মনে হয় আগামি সাত আট বছরে ছবিটা আরও ভাল বোঝা যাবে।
প্রশ্ন: ফ্যানদের জন্য কী বলবে?
ঋত্বিক: মুক্তি আসছে, জি ফাইভে ২৬ জানুয়ারি, দেখবেন। গোরাতে অনেক ভালবাসা পেয়েছি। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ এবং সাবধানে থাকবেন। এবং আনন্দে থাকুন।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)