বছর ২০ পর হম আপকে হ্যায় কউন
কুড়ি বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি। অদম্য প্রেমের মাঝে যৌথ পরিবারের মূল্যবোধ আর গোটা ছবি জুড়ে শুধুই বিনোদন। ১৯৯৪ সালের ৫ অগাস্ট অর্থাত্ আজকের দিনেই মুক্তি পেয়েছিল রাজশ্রী প্রোডাকশনের ব্যানারে সুরজ বরজাতিয়ার ছবি হম আপকে হ্যায় কউন। ছবির গানে, মাধুরীর লাস্যে মজেছিল আসমুদ্রহিমাচল। আজ দু'দশক পেরিয়েও মাধুরী মানেই আজও রয়ে গেছে সেই হাসি, সেই বিভঙ্গ।
ভারতের ইতিহাসে প্রথম বলিউড ছবি যা বক্সঅফিসে ১ বিলিয়নের ওপর ব্যবসা করে। ছবির জন্য মাধুরীর পারিশ্রমিক ছিল ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭২৯টাকা। ভারতের বক্সঅফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, আধুনিক যুগের সব থেকে ব্লকবাস্টার ছবি হম আপকে হ্যায় কউন। শুধ ব্যবসা নয়। এসেছিল সম্মানও। সেরা ছবি ও পরিচালনার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন সুরজ বরজাতিয়া। সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জেতেন মাধুরী। বিনোদনের জন্য সেরা জনপ্রিয় ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল হম আপকে হ্যায় কউন।
তবে হম আপকে হ্যায় কউনও কিন্তু রিমেক। ১৯৮২ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের ব্যানারে মুক্তি পায় নদীয়া কে পার। বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই ছবি। ১২ বছর পরে ছবির গল্পোর রিমেক নিয়ে আসে রাজশ্রী। বাকিটা ইতিহাস। ছবিতে ১৪টা গান ছিল। তার প্রতিটাই সুপারহিট। কুড়ি বছর পরও ভারতীয় বিয়ের আসরে সবথেকে জনপ্রিয় গান 'দিদি তেরা দেবর দিওয়ানা।' পারিবারিক অনুষ্ঠানে এখনও বাজে 'মউসম কা জাদু', 'জুতো দে দো', 'মায় নি মায়'।
আপামর ভারতবাসীর হৃদয় যেখানে মজেছিল সেই ছবি স্বয়ং মকবুল ফিদা হুসেন দেখেছিলেন ৮৫ বার। মাধুরীর লচক, মটকে এতটাই ফিদা হয়েছিলেন তিনি তারপর থেকে তাঁর পেন্টিংয়ে ফুটে উঠত মাধুরীর অবয়ব। পরে ২০০২ সালে মাধুরীকে নিয়ে 'গজগামিনী' ছবিও বানিয়েছিলেন তিনি। যদিও, বক্সঅফিসে সাফল্যের মুখ দেখেনি সেই ছবি।
তবে হম আপকে হ্যায় কউনের সবথেকে বড় হিট বোধহয় মাধুরীর শাড়ি। নীতা লুলার ডিজাইনে পিঠ খোলা ব্লাউজের সঙ্গে ঘন নীল শাড়িতে মাধুরী ঝড় তুলেছিলেন বহু হৃদয়ে। কুড়ি বছর পেরিয়েও সেই শাড়ি আজও রয়েছে ফ্যাশন তালিকায়। আজও বিকোয় শুধু মাধুরীর নামেই।