ডেঙ্গির ভয়ে বাবা হতে লন্ডনে ফরদিন
বেশ কিছুদিন ধরেই মুম্বইতে কামড় বসিয়েছে ডেঙ্গি। তারওপর আবার দোসর হয়েছে ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডও।
বেশ কিছুদিন ধরেই মুম্বইতে কামড় বসিয়েছে ডেঙ্গি। তারওপর আবার দোসর হয়েছে ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডও। এদের বদান্যতা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বি টাউন সেলিব্রিটিরাও। এবার সেই ভয়েই দেশ ছেড়ে পালালেন ফরদিন খান।
সাত বছর আগেই অভিনেত্রী মুমতাজ কন্যা নাতাশার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন ফরদিন। এতদিন পর বাবা হতে চলেছেন তিনি। আগামী এপ্রিল মাসেই যমজ সন্তান আসতে চলেছে তাঁদের সংসারে। দিব্যি খুশি খুশি মনে স্বপ্নে মশগুল ছিলেন ফরদিন। কিন্তু বাধ সাধল ডেঙ্গি। তাই পত্রপাঠ গুছিয়ে লন্ডন পাড়ি দিয়েছেন ফরদিন। সেখান থেকেই ফোনে জানালেন, "সন্তানের জন্য আমি আর নাতাশা অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। সন্তানলাভ যেকোনও দম্পতির জীবনেই সবথেকে বড় ঘটনা। স্বপ্নের মত লাগছে। আমি চাই লন্ডনেই নাতাশা আমাদের যমজ সন্তানের জন্ম দিক। তারওপর মুম্বইতে এখন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থায় আমাদের সদ্যজাত সন্তানদের জন্য লন্ডনে থাকাই ভাল। ওরা একটু বড় হলে তবেই মুম্বই ফিরতে চাই"।
গত বছর নভেম্বর মাস থেকেই মা মুমতাজের সঙ্গে লন্ডনে রয়েছেন ফরদিন পত্নী নাতাশা। আপাতত ৩ মাসের অন্তসত্তা তিনি। কিছুদিন আগেই ফরদিন টুইট করে জানান সেই খবর। তারপর থেকেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভেসে গেছেন খান দম্পতি। শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নতুন পরিচয়ই নয়। নিজের কেরিয়ারেও নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন তিনি। সন্তানের জন্মের পরই বাবার প্রোডাকশন হাউজ এফকে ইন্টান্যাশানাল নতুন করে শুরু করতে চান ফরদিন। "এখন হাতে তিনটে প্রজেক্ট রয়েছে। আমি মনে করি সবটাই সময়ের ব্যাপার। বাবার ব্যানার আবার চালু করতে চলেছি আমি। তবে এখন মুম্বইতে থাকলেও আমার মন সবসময়ই লন্ডনে পড়ে থাকে। তাই বাবা হওয়ার আগে আমি আর অন্যকিছুই ভাবতে পারছি না"। লন্ডনে বসেই জানালেন ফরদিন।