কপিরাইটের জালে টাইগার

মাত্র ৫ দিনেই ১০০ কোটির ব্যবসা করেও মধুরেণ সমাপয়েত্ হল না `এক থা টাইগার`-এর। বক্সঅফিসের সব রেকর্ড ভেঙেচুরে `এক থা টাইগার`-র যাত্রাপথ যতটা মসৃণ হবে বলে যশরাজ ভেবেছিলেন আদপে ততটা মসৃণ হল না। টানা একমাস রমরমিয়ে বক্সঅফিস কাঁপালেও শেষমেশ কপিরাইট বিতর্কে ফাঁসল `এক থা টাইগার`।

Updated By: Sep 12, 2012, 06:00 PM IST

মাত্র ৫ দিনেই ১০০ কোটির ব্যবসা করেও মধুরেণ সমাপয়েত্ হল না `এক থা টাইগার`-এর। বক্সঅফিসের সব রেকর্ড ভেঙেচুরে `এক থা টাইগার`-র যাত্রাপথ যতটা মসৃণ হবে বলে যশরাজ ভেবেছিলেন আদপে ততটা মসৃণ হল না। টানা একমাস রমরমিয়ে বক্সঅফিস কাঁপালেও শেষমেশ কপিরাইট বিতর্কে ফাঁসল `এক থা টাইগার`। ফিল্ম রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য আনন্দ পাণ্ডা দাবি করেছেন তাঁর অনুমতি ছাড়াই তাঁর লেখা চিত্রনাট্য ব্যবহৃত হয়েছে `এক থা টাইগার`-এ। এই মর্মে আম্বলি থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে ফিল্ম রাইটার্স অ্যাসেসিয়েশন। তাদের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে আদিত্য চোপড়া এবং কবীর খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিস।
আনন্দের বক্তব্য অনুযয়ী ২০১১-র মাঝামাঝি যশরাজ ফিল্মসকে চিত্রনাট্য পড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তখন বিন্দুমাত্র উত্সাহ দেখায়নি যশরাজ ফিল্মস। তাঁর চিত্রনাট্য তখনই পাণ্ডাকে ফিরিয়ে দেয় যশরাজ। ছবির মুক্তির পর চমকে যান আনন্দ। `এক থা টাইগার`-এর সঙ্গে তাঁর লেখা চিত্রনাট্যের প্রভূত মিল রয়েছে বলে দাবি করেছেন আনন্দ। `এক থা টাইগার`-এর মুক্তির পর পরই ফিল্ম রাইটার্স অ্যাসোসিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আনন্দ। তাঁর আবেদনের ওপর ভিত্তি করে মুম্বই আদালতে যশরাজের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছে এফডব্লিউএ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শ্রীঘরবাসও হতে পারে আদিত্য চোপড়ার।
তবে চিত্রনাট্য চুরির ঘটনা বলিউডে নতুন নয়। `জন্নত টু` মুক্তির পরই মুকেশ ভাটের বিরুদ্ধে মুম্বই হাইকোর্টে মামলা করেন কপিল চোপড়া নামের এক ব্যক্তি। সেই অপরাধে ১০ লক্ষ টাকার চুনা লেগেছিল ভাট ক্যাম্পে। একই অভিযোগ উঠেছিল `দেশি বয়েজ` নিয়েও। কাজেই যশরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গরাদের পিছনে যাওয়ার সঙ্গেই বড়সড় অঙ্কের চুনাও লাগতে চলেছে যশরাজে।

.