শ্লীলতার সংজ্ঞা ভুলেছে সেন্সরবোর্ড! তাই কোর্টে মামলা
সেন্সর বোর্ডের কার্যকলাপের ওপর সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে মামলার শুনানি হবে আগামীকাল। দেশের সেন্সর রোর্ড (সিবিএফসি) ফিল্মমেকারদের সঙ্গে অশুভ আঁতাত করে অশ্লীল দ্বৈত অর্থের সংলাপ, গালিগালাজ, এবং কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য দেখানোর ছাড়পত্র দিচ্ছে, এই অভিযোগেই দিল্লি হাইকোকর্টের দ্বারস্থ হন টিনা শর্মা নামের এক সমাজকর্মী।
সেন্সর বোর্ডের কার্যকলাপের ওপর সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে মামলার শুনানি হবে আগামীকাল। দেশের সেন্সর রোর্ড (সিবিএফসি) ফিল্মমেকারদের সঙ্গে অশুভ আঁতাত করে অশ্লীল দ্বৈত অর্থের সংলাপ, গালিগালাজ, এবং কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য দেখানোর ছাড়পত্র দিচ্ছে, এই অভিযোগেই দিল্লি হাইকোকর্টের দ্বারস্থ হন টিনা শর্মা নামের এক সমাজকর্মী।
সেন্সরবোর্ডের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ আনার ভিত্তি কী? টিনা বলছেন, " সাম্প্রতিক বলিউড সিনেমাগুলোর কথা ভাবুন। কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য তো বটেই সংলাপগুলোও এত অশ্লীল আপনি খালি চোখ-কানেই বুঝে যাবেন সেন্সরবোর্ডের কাজে কোথাও একটা স্বচ্ছতার অভাব হচ্ছে। সেন্সরবোর্ডের কর্তারা নিজেরাও জানেন হিন্দি ছবিতে আজকাল যা দেখানো বা শোনানো হচ্ছে তা সত্যিই অশ্লীল আর কুরুচিপূর্ণ। কিন্তু এরপরেও তাঁরা কিছু বলছেন না দেখে বুঝতে হবে গণ্ডগোলটা মারাত্মক।
উদাহরণ দিয়ে টিনা বলেন, "বছরের শুরুর দিকে রিলিজ করা আব্বাস-মাস্তানের `রেস টু` সিনেমাটার কথা একবার ভাবুন। এই সিনেমায় আমিশা পরিষ্কার ভাষায় তার বুক নিয়ে অনিল কাপুরকে যা বলছে সেটা কী সত্যিই দেখানো যায়। আমি তো দেখে অবাক হয়ে যাই। তাহলে দেশে সেন্সরবোর্ড রেখে কী হবে!"
এই বিতর্কে টিনা আরও সাম্প্রতিক কিছু বলিউড সিনেমার নাম করেন। সেগুলি হল-- নিখিল আদবানির অ্যাকশান থ্রিলার `ডি ডে` ( D Day), কমেডি সিনেমা `বয়েজ তো বয়েজ হ্যায়` (Boyss Toh Boyss Hain), টিন থ্রিলার `সিক্সটিন` (Sixteen), আর্শাদ ওয়ারসির `রব্বা ম্যাঁয় কেয়া কারু (Rabba Main Kya Karoon)`। সেন্সরবোর্ডে বিরুদ্ধে মামলাকারী টিনা বলেন, এইসব ছবিতেও যে ধরনের দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা দেখে অবাক হতে হয়। অথচ এইসব ছবিগুলো `ইউ/এ` সার্টিফিকেট নিয়ে রিলিজ করেছে।