Actor Masum Aziz Passes Away: বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুম আজিজ
Masum Aziz Passes Away: ২০২২ সালের শুরু থেকেই ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বছরের শুরু থেকে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল তাঁর কিন্তু গত মাস থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে।
Masum Aziz, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলে গেলেন বাংলাদেশের বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুম আজিজ। সোমবার বেলা ৩টেয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা। দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। গত ৮ অক্টোবর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত ১৩ অক্টোবর ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল মাসুম আজিজকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, সোমবার ১৭ অক্টোবর না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেতা।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
অভিনেতার ছেলে উৎস আগেই বলেছিলেন, ২০২২ সালের শুরু থেকেই ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বছরের শুরু থেকে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল তাঁর কিন্তু গত মাস থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। সে কারণে একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তারপর কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর বাড়ি ফেরেন অভিনেতা। কিন্তু অক্টোবরের শুরুর দিকে আবারও অবস্থার অবনতি হয়, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সে কারণেই গত ৮ অক্টোবর আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কেমো থেরাপি দেওয়ার পর ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর জেরেই ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয়। ফলে ওষুধ কাজ করছিল না ঠিকমতো।
আরও পড়ুন: Basabdatta Chatterjee: ‘বোল্ডসিনের ওয়ার্কশপ করে কাজ পাওয়ার প্রয়োজন নেই, আমার নাম নেওয়া বন্ধ হোক’
মাসুম আজিজের ছেলে উৎস জামান বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানান, সোমবার তার বাবার মরদেহ হাসপাতালেই থাকবে। মঙ্গলবার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে অভিনেতার মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে, এমনকী সাধারণ মানুষরাও সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারবেন। এরপরই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পাবনায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে, সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে অভিনেতাকে।
মঞ্চ থেকে ছোটপর্দা, বড়পর্দায় তাঁর অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন অভিনেতা মাসুম আজিজ। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক- ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, ‘তিন গ্যাদা’, ‘দুই দুকুনে চার’ ‘সাকিন সারিসুরি’। তবে শুধু নাটকই নয়, একাধিক ছবিতে তিনি নজর কেড়েছেন। ‘ঘানি’ সিনেমায় অভিনয় করে ২০০৬ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া চলতি বছর তাকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। তাঁর চলে যাওয়া যে অভিনয় জগতের বড় ক্ষতি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলা সিনে দুনিয়া।