জন্মদিনে আশা ভোঁসলে, রইল তাঁর কালজয়ী ১০টি গান
ওয়েব ডেস্ক: ৮৪-তে পা দিলেন মেলোডি কুইন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে মেলোডি, পপ হোক বা লোকসঙ্গীত সবেতেই হৃদয় ছুঁয়েছে আশাজির সুরমূর্ছনা।
ছয়ের দশকে যখন গীতা দত্ত, শামসাদ বেগম, লতা মঙ্গেশকরের রাজত্ব, ঠিক তখনই বলিউডে আসেন আশা ভোঁসলে। বলিউডে তাঁর প্রবেশ খুব একটা সহজ হয়নি। তাঁকে ভালো কোনও গান দিতে চাননি প্রথিতযশা সঙ্গীত পরিচালকরা, দেওয়া হত অপেক্ষাকৃত কম বাজেটের সিনেমার গান।
তবে তিনি আশা ভোঁসলে। নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়েই ধীরে ধীরে বলিউডে জায়গা করে নেন। ১৯৫৩ সালে পরিচালক বিমল রায় তাঁকে তাঁর 'পরিণীতা' সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। তারপর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
তাঁর কেরিয়ারের মাইল ফলক হিসাবে ধরা হয় ১৯৫৭-র 'নয়া দৌড়', ১৯৬৬-র 'তিসরি মঞ্জিল' ১৯৮১-র 'উমরাও জান' ১৯৯৫-এর ' রঙ্গিলা' সিনেমাকে। তারপর দীর্ঘ ৬০ বছর বলিউডে রাজত্ব করেছেন আশা ভোঁসলে। তবে শুধু বলিউড নয়, বিভিন্ন ভাষায় ১২০০-রও বেশি গান গেয়েছেন। ২০১১ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে সর্বাধিক প্লেব্যাক গানের গায়িকার শিরোপা দেয়। ২০০৮ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ উপাধিকে ভূষিত করে ভারত সরকার। মেলোডি কুইনের জন্মদিনে ২৪ ঘণ্টার শ্রদ্ধার্ঘ। রইল তাঁর জনপ্রিয় ১০টি গান।
'আইয়ে মেহেরবা' ( হাওড়া ব্রিজ ১৯৫৮)
'আভি না যাও ছোড় কর' (হাম দোনো ১৯৬১)
'আও হুঁজুর তুমকো তুমকো সিতারো মে লে চলে' (কিসমত ১৯৬৮)
'পিয়া তু আব তো আজা' ( ক্যারাভান ১৯৭১)
'দুনিয়া মে লোগ কো ধোকা হো জাতা হ্যায়' (আপনা দেশ ১৯৭২)
'চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে যো দিলকো' ( ইয়াদোঁ কি বারাত ১৯৭৩ )
'আও না, গলে লাগাও না' (জীবন সাথী ১৯৭২)
'হাঙ্গামা হো গ্যায়া' (আনহোনি ১৯৭৩)
'জুসতুজু জিসকি থি' ( উমরাও জান ১৯৮১)
'মেরা কুছ সামান' (ইজাজত১৯৮৭)