মধ্যযুগীয় অন্ধকারে বিপন্ন স্বাধীনতা: চাঁচোলে সালিশি সভায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করলেন এক মহিলা
সালিশি সভায় অপমানিত হয়ে গায়ে আগুন দিলেন এক মহিলা। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মালদার চাঁচোলে গতকাল সন্ধেয় ওই সালিশি সভা বসে। সেখানে কটুক্তি সহ্য করতে না পেরে সভা চলাকালীনই গায়ে আগুন দেন ওই মহিলা। মূল অভিযুক্ত পাণ্ডব দাস এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছেন মৃত মহিলার পরিবার।
সালিশি সভায় অপমানিত হয়ে গায়ে আগুন দিলেন এক মহিলা। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মালদার চাঁচোলে গতকাল সন্ধেয় ওই সালিশি সভা বসে। সেখানে কটুক্তি সহ্য করতে না পেরে সভা চলাকালীনই গায়ে আগুন দেন ওই মহিলা। মূল অভিযুক্ত পাণ্ডব দাস এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছেন মৃত মহিলার পরিবার।
দিনের পর দিন কটূক্তিকর মন্তব্য সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন দিলেন মহিলা। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে মালদার চাঁচোলে। ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছেন স্বামী। তাই ইদানিং বাপের বাড়িতে থাকতেন ওই মহিলা। অভিযোগ বাপের বাড়ি ফিরে আসার পরেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে স্থানীয় যুবকরা। নিয়মিত কটূক্তি শুরু হয়। শুক্রবার সকালে ফের প্রকাশ্য রাস্তায় ওই মহিলাকে অপমান করেন স্থানীয় যুবক পাণ্ডব দাস ও তাঁর সঙ্গীরা। এর পরেই বিষয়টি মিটিয়ে নিয়ে সালিশিসভা বসান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি সেখানেও অভিযুক্তদের কটূক্তি থামেনি। সভা চলাকালীনও মহিলাকে উদ্দেশ্য করে অবমানমাকর মন্তব্য করে যেতে থাকেন অভিযুক্তরা। তখনই সভা থেকে বেড়িয়ে গায়ে আগুন দেন মহিলা।
সালিশিসভায় হাজির ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শুভাশিস সাহা। তিনিও মহিলাকে অপমান করা হয় বলে জানিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মহিলাকে ভর্তি করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত পাণ্ডব দাস ও তার সঙ্গীরা পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছেন মৃত মহিলার পরিবার।