বর্ধমান কাণ্ড: ডায়রির কোনও পাতায় চাল-ডালের হিসেব, কোথাও রাসায়নিকের নাম, কীভাবে খুলবে রহস্যের জট?

কোনও পৃষ্ঠায় লেখা চাল-ডাল, তেল-আলুর হিসেব। কোথাও হিসেব পটাসিয়াম নাইট্রেট, রেড অক্সাইডের মতো রাসায়নিকের। খাগড়াগড়ের বাড়িতে পাওয়া রহস্যজনক ডায়েরিতে এমন বহু হিসেবই পেয়েছেন গোয়েন্দারা। আবার কিছু পৃষ্ঠায় রয়েছে নিতান্তই খাপছাড়া, আপাতদৃষ্টিতে অর্থহীন কিছু শব্দ বা লাইন। মনে হতে পারে প্রলাপ। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

Updated By: Oct 8, 2014, 11:27 PM IST
বর্ধমান কাণ্ড: ডায়রির কোনও পাতায় চাল-ডালের হিসেব, কোথাও রাসায়নিকের নাম, কীভাবে খুলবে রহস্যের জট?

ওয়েব ডেস্ক: কোনও পৃষ্ঠায় লেখা চাল-ডাল, তেল-আলুর হিসেব। কোথাও হিসেব পটাসিয়াম নাইট্রেট, রেড অক্সাইডের মতো রাসায়নিকের। খাগড়াগড়ের বাড়িতে পাওয়া রহস্যজনক ডায়েরিতে এমন বহু হিসেবই পেয়েছেন গোয়েন্দারা। আবার কিছু পৃষ্ঠায় রয়েছে নিতান্তই খাপছাড়া, আপাতদৃষ্টিতে অর্থহীন কিছু শব্দ বা লাইন। মনে হতে পারে প্রলাপ। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

চারদিক ভাসছে রক্তে। পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। তারই মধ্যে পাশের ঘরে ধিকিধিকি জ্বলছে আগুন। সামনে যেতেই বোঝা গেল, বহু কাগজপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর পুলিস যতক্ষণে পৌছয় খাগড়াগড়ের বাড়িতে ততক্ষণে অনেক নথিই পুড়ে ছাই। কিছু পড়ে অর্ধেক পোড়া অবস্থায়। তবে বেঁচে যায় একটি ডায়েরি। আগুনের আঁচ লাগেনি তাতে।  এই ডায়েরির মধ্যে কী রহস্য লুকানো রয়েছে? তারই সন্ধানে গোয়েন্দারা।

দৈনন্দিন খরচ-খরচার সমস্ত হিসেব লেখা ছিল ডায়েরিতে। কোন্ দিন, কী কী কেনা হয়েছে, সেজন্য কত খরচ হয়েছে সবেরই হিসেব তাতে লেখা। চাল, ডাল থেকে আলু-বেগুন, মশলাপাতি- কী নেই তাতে! পেরেক, গঁদ, বল বেয়ারিং--কোনটা কিনতে কত খরচ হয়েছে তাও স্পষ্ট করে লেখা। কিন্তু সাধারণ গেরস্ত বাড়ির কেনাকাটার বাইরে কী কারবার চলত এই বাড়িতে? তার আভাস মিলছে ওই ডায়েরি থেকেই। তাতে রয়েছে নানা রাসায়নিকের খুঁটিনাটিও। কবে, কত টাকায় পটাসিয়াম নাইট্রেট কেনা হয়েছিল বা রেড অক্সাইড কতটা পরিমাণে, কবে কেনা হয়- ডায়েরিতে রয়েছে সব তথ্য। কিছু জিনিস এমনও রয়েছে যা কোড ল্যাঙ্গুয়েজে লেখা।

বিস্ফোরকের আতুঁরঘর খাগড়াগড়ের ওই বাড়ি। কিন্তু ডায়েরিতে যে সব জিনিসের উল্লেখ রয়েছে তা নিতান্তই সাধারণ, খোলাবাজারে পাওয়া যায়। তার থেকেই বিশেষ ফর্মুলায় তৈরি হত ওই সব মারাত্মক বিস্ফোরক?(বর্তমানে যে কোনও নাশকতা বা সন্ত্রাসবাদী হামলায় দেখা গেছে LOW INTENSIVE EXPLOSIVE-এর ব্যবহার।... খাগড়াগড়ের বাড়িতেও তেমনই বিস্ফোরক বানানো হত। ডায়েরি সহ সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।)

ডায়েরির বহু কোড ডি-কোড করা বাকি। বাকি অনেক জট কাটানো। একবার তা করতে পারলেই খাগড়াগড়কাণ্ডের তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

 

.