বৃষ্টি থামলেও দুর্ভোগ কমেনি মেদিনীপুরের মানুষের
বৃষ্টি বন্ধ হলেও, দুই মেদিনীপুরে বন্যায় দুর্ভোগ চলছেই। তমলুকে কয়েক হাজার মানুষ এখনও জলবন্দি রয়েছেন। পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোণার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের তলায়। অকাল বৃষ্টি হাসি কেড়ে নিয়েছে হুগলির কৃষকদের।
বৃষ্টি বন্ধ হলেও, দুই মেদিনীপুরে বন্যায় দুর্ভোগ চলছেই। তমলুকে কয়েক হাজার মানুষ এখনও জলবন্দি রয়েছেন। পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোণার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের তলায়। অকাল বৃষ্টি হাসি কেড়ে নিয়েছে হুগলির কৃষকদের।
বিদায়বেলায় বর্ষার ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। দুই জেলাতেই বন্যা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। বৃষ্টি বন্ধ হলেও বহু জায়গা এখনও জলের তলায় ডুবে রয়েছে। তমলুকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁদের অনেকেই ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পাঁশকুড়াতেও প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। কংসাবতী নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। জোর কদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার বসনছোঁড়া গ্রামপঞ্চায়েত। প্রতি বছরই এখানে বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু এবার তা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করেছে। কারণ গ্রামের একদিকে রয়েছে শিলাবতী নদী। অন্যদিকে কেঠিয়া খাল। দুইয়ের মাঝে পড়ে করুণ অবস্থা গ্রামবাসীদের।
আকড়তলা গ্রামের কাছে শিলাবতী নদীর বাঁধ প্রায় পঞ্চাশ ফুট ভেঙে পড়েছে। তার জেরে চোদ্দ-পনেরোটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও বাঁধ সারাইয়ের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
সামনেই দীপাবলি। কিন্তু রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে হুগলির কৃষকদের। অতি বৃষ্টিতে মাঠের ধান মাঠেই শুইয়ে গিয়েছে। মাইলের পর মাইল জমিতে জল বসে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সবজি। বিশেষ করে পালংশাক, কপি, মুলো, বেগুনের মতো সবজি চাষে ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সিঙ্গুর, বেড়াবেড়ি, সিংহের ভেড়ি, খাসেরচকে বহু কৃষক হাজার হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাইশটি মৌজার প্রায় তেরোশো পঁয়তাল্লিশ হেক্টর জমিতে আমন ও আউশ ধান জলের তলায় চলে গিয়েছে।
অস্বাভাবিক বৃষ্টি মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে পুরুলিয়ার কোটলোই গ্রামের মৃত্শিল্পীদের। কারণ প্রদীপ তৈরির জন্য যে মাটি তাঁরা সংগ্রহ করে রেখেছিলেন, তার বেশিরভাগটাই ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। ফলে দীপাবলির আগে দুশ্চিন্তার অন্ধকারে ডুবে রয়েছেন তাঁরা। সামনেই আলোর উত্সব। কিন্তু বাংলার এই সব জায়গায় তার লেশমাত্র নেই। বানভাসিদের জলছবি। কৃষকদের বিপুল লোকসান। সব মিলিয়ে দুর্যোগের দুর্ভোগ চলছেই।