সরকার দু`বছর পূর্তির পথে, এখনও অন্ধকারে রাজ্যের শিল্প ভবিষ্যৎ
প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগ বাড়বে। শিল্পপতিদের আগ্রহ বাড়াতে তাঁদের জন্য তৈরি করা হবে তথ্যভাণ্ডার। তাতে থাকবে শিল্প গড়তে কোথায়, কত জমি পাওয়া যাবে সেই সমস্ত তথ্য। কিন্তু সরকারের দু-বছর পূর্ণ হতে চললেও শিল্প মহল এখনও অন্ধকারে। প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ সরকার। সঙ্কটে রাজ্যে শিল্পের ভবিষ্যৎ।
প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগ বাড়বে। শিল্পপতিদের আগ্রহ বাড়াতে তাঁদের জন্য তৈরি করা হবে তথ্যভাণ্ডার। তাতে থাকবে শিল্প গড়তে কোথায়, কত জমি পাওয়া যাবে সেই সমস্ত তথ্য। কিন্তু সরকারের দু-বছর পূর্ণ হতে চললেও শিল্প মহল এখনও অন্ধকারে। প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ সরকার। সঙ্কটে রাজ্যে শিল্পের ভবিষ্যৎ।
রাজ্যে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগের কথা শুনিয়েছিল নতুন সরকার। তৈরি করার কথা ছিল নতুন শিল্পনীতি, জমিনীতি, ল্যান্ডব্যাঙ্ক সহ অনেক কিছুই। কিন্তু সরকারের দু-বছর পূর্ণ হতে চললেও এখনও বাস্তবায়িত হয়নি এর কোনওটাই।
রাজ্যে শিল্পে খরার মূল কারণ হিসেবে জমিনীতির পাশাপাশি শিল্পনীতিকেও দূষছে শিল্প মহল। শিল্পনীতির মতো জমিনীতি তৈরির কাজও দুবছরে অসম্পূর্ণ। তৈরি করা যায়নি ল্যান্ড ব্যাঙ্ক। কারণ কোন দফতরের হাতে কত জমি আছে সেটাই পরিস্কার নয় জমি দফতরের কাছে। অন্যদিকে, রুগ্ন ও বন্ধ কলকারখানার জমির পরিমাণ কত তার তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থাকে। ওই সংস্থাও এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট দিতে পারেনি। ফলে প্রতিশ্রুতিমতো শিল্পপতিদের হাতে সঠিক তথ্য তুলে দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।
উল্টে প্রকাশ্যে চলে এসেছে শিল্প দফতরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সৌগত রায় কাজিয়া। যার জেরে শেষপর্যন্ত উপদেষ্টা পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে সৌগত রায়কে। আরেকদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৈরি করা শিল্পনীতির খসড়াও অনুমোদন করেননি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো, শিল্পনীতির খসড়া খতিয়ে দেখে অর্থমন্ত্রীরই তা চূড়ান্ত করার কথা। গুজরাত, মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের শিল্পনীতি খতিয়ে দেখে শিল্পমন্ত্রী বেশকিছু শিল্পে অতিরিক্ত ইনসেন্টিভ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন নিজের খসড়ায়। কিন্তু রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কারণে তা মঞ্জুর করেনি অর্থ দফতর।
এইসব টানাপোড়েনের মধ্যেই সরকারের গত দুবছরের কাজের মূল্যায়ণ নিয়ে নতুন পুস্তিকা প্রকাশ হতে চলেছে। এর জন্য বিভিন্ন দফতরের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়। যে সব দফতরের মূল্যায়ণে মুখ্যমন্ত্রী অসন্তুষ্ট তার মধ্যে অন্যতম শিল্প দফতর।