বিচারের দাবিতে বিশ্বভারতীর নির্যাতিতার বাবার হুমকি, 'হয় সুবিচার, না হলে আত্মহত্যা'
হয় সুবিচার, না হলে আত্মহত্যা। এই হুমকি দিলেন বিশ্বভারতীতে নির্যাতিতার বাবা। গতবছর বিশ্বভারতীর কলাভবনে ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মামলার শুনানি শুরু হয়নি। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিসের গড়িমসিতে শাস্তি হচ্ছে না অভিযুক্তদের।
ওয়েব ডেস্ক: হয় সুবিচার, না হলে আত্মহত্যা। এই হুমকি দিলেন বিশ্বভারতীতে নির্যাতিতার বাবা। গতবছর বিশ্বভারতীর কলাভবনে ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মামলার শুনানি শুরু হয়নি। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিসের গড়িমসিতে শাস্তি হচ্ছে না অভিযুক্তদের।
এক বছর ধরে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও হাত খালি। অভিযোগ, কোথাও হয়ত মিলেছে শুকনো আশ্বাস। কোথাও তাও মেলেনি। বদলে জুটেছে অপমান। নির্যাতনের শিকার মেয়ের জন্য লড়াইয়ে নেমে, আজও সুবিচার হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর বাবা। আত্মহত্যার হুমকি দিতেও তাই গলা এতটুকু কাঁপেনি। বিশ্বভারতীর কলাভবনে, সিকিমের ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও তাঁকে নগ্ন করে ছবি তোলার অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সালটা ছিল ২০১৪। ঘটনায় নাম জড়ায় কলা ভবনেরই তিন ছাত্রের। প্রথম দিন থেকে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার। এরপরও বারবার পুলিস-প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে সিকিম ছেড়ে এ রাজ্যে ছুটে এসেছেন তিনি। বুধবারও বীরভূমের পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
ওই মামলায় এবছর ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেয় জেলা পুলিস। তাতে নাম রয়েছে অভিযুক্ত তিন ছাত্র অরিন্দম গিরি, মারসুদ আসিফ মোল্লা এবং অনিরুদ্ধ কর্মকারের। অথচ এখনও শুনানি শুরুই হয়নি। বিচার কবে হবে, কে করবে, প্রশ্ন হতাশ এই পিতার।