সিঙ্গুর উত্‌সবে যোগ দিতে যাওয়ায় মারধরের অভিযোগ

কংগ্রেস বনাম তৃণমূল। রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদা। কালিয়াচকে মার খেয়ে হাসপাতালে এক কংগ্রেস সমর্থক ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্য। আক্রান্তদের অভিযোগ, হামলাকারীরা তৃণমূলের। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুরে সিঙ্গুর উত্‍সবে যোগ দিতে যাওয়ায়, এক তৃণমূল সমর্থক পরিবারকে মারধরের অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা পলাতক।

Updated By: Sep 3, 2016, 05:20 PM IST
সিঙ্গুর উত্‌সবে যোগ দিতে যাওয়ায় মারধরের অভিযোগ

ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেস বনাম তৃণমূল। রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদা। কালিয়াচকে মার খেয়ে হাসপাতালে এক কংগ্রেস সমর্থক ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্য। আক্রান্তদের অভিযোগ, হামলাকারীরা তৃণমূলের। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুরে সিঙ্গুর উত্‍সবে যোগ দিতে যাওয়ায়, এক তৃণমূল সমর্থক পরিবারকে মারধরের অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা পলাতক।

আক্রান্ত মাছ ব্যবসায়ী বেলাল শেখ ও তাঁর পরিবার। প্রত্যেকেই ভর্তি হাসপাতালে। কিন্তু কেন এই হামলা? আক্রান্তদের অভিযোগ, কংগ্রেস করাতেই এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল সমর্থকরা। দলবদলের জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি আহত বেলাল শেখের। তৃণমূল কর্মী আজিরুদ্দিন শেখ সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অপরাধ হয়েছিল, সিঙ্গুর উত্‍সবে যোগ দিতে যাওয়ার চেষ্টা করা। অভিযোগ, একারণেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি পরিবারকে আক্রান্ত হতে হল। মারা হল বাঁশ, লোহার রড দিয়ে।

শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় সিঙ্গুর উত্‍সবের আয়োজন করা হয় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেই উত্‍সবেই যোগ দিতে যাচ্ছিলেন শেখ হজরত ও তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, সেইসময় কংগ্রেস কর্মী শেখ মালেক এবং শেখ মুস্তাকিন তাঁদের পথ আটকায়। সিঙ্গুর উত্‍সবে যোগ দিতে বারণ করা হয় তাঁদের। শেখ হজরতের দাবি, একথায় রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত শেখ মালিক ও শেখ মুস্তাকিন দলবল সমেত লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায় হজরতকে।

বাধা দিতে গেলে ওই কংগ্রেস কর্মীদের হাতে মার খেতে হয় হজরতের স্ত্রী ও তাঁর ছেলেকেও। পরে গ্রামবাসীদের মধ্যস্থতায় ছাড়া পায় হজরত। আহত শেখ হজরতকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতেও।

.