ভাল ফলন, বিক্রি নেই, ঋণের দায়ে আত্মহত্যা দুই আলুচাষীর
আলুর ভাল ফলন আবারও ফাঁস হয়ে এঁটে বসেছে চাষিদের গলায়। ঋণের চাপে আর আলু বিক্রি করতে না পেরে, আত্মহত্যা করলেন দুই আলুচাষি। হুগলি আর বর্ধমানে। বড় গলা করে আলুচাষিদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কাজের কাজ কতটুকু হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে!
চাষ ঠিকমতো হয়েছিল। ফলনও ভাল হয়েছে। আর সেটাই যেন কাল হল। বাজারে দাম নেই। ফলে একদিকে ঋণের বোঝা। অন্যদিকে আলু বিক্রি করতে না পারার চাপ আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিল স্বপন মণ্ডলকে। হুগলির খানাকুলের কেতেদল গ্রামের এই আলুচাষি এবার প্রায় চার বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন। আলুর দাম না পেয়ে বর্ধমানের ভাতারে আত্মঘাতী হয়েছেন আরও এক আলু চাষী। পাঁচ-ছ বিঘে জমিতে আলু চাষ করেছিলেন গুডু মুর্মু। খরচ হয় লক্ষাধিক টাকা। মহাজনের কাছে ঋণই ছিল পঞ্চাশ হাজার টাকা।
কিন্তু শুধুই কি এক-দু জন কৃষকের আত্মহত্যা? সমস্যা এখানে শেষ নয়। বরং শুরু। ফলন প্রচুর। কিন্তু বিক্রির পথ কী? ব্যবসায়ীরা আলু কিনতে নারাজ। বাজারে কার্যত দামই নেই আলুর। সরকার সহায়ক মূল্যে আলু কিনলে, তবেই এই সঙ্কট কাটানো সম্ভব। কিন্তু সরকার কি নজর দেবে? দিলেও কবে? আর কতজন চাষি আত্মহত্যা করলে টনক নড়বে সরকারের?