ভাঙড়ে তোলাবাজীর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে স্থানীয়  তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করলেন একটি জুতো কারখানার মালিক। লোক নিয়োগের জন্য চাপ দেওয়া হয় মালিকের ওপর। পরিস্থিতি না বদলালে কারখানা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কারখানার মালিক।  তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করলেও লোক নিয়োগেই ইস্যুটি স্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা।

Updated By: Aug 30, 2014, 03:55 PM IST

ভাঙড়: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে স্থানীয়  তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করলেন একটি জুতো কারখানার মালিক। লোক নিয়োগের জন্য চাপ দেওয়া হয় মালিকের ওপর। পরিস্থিতি না বদলালে কারখানা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কারখানার মালিক।  তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করলেও লোক নিয়োগেই ইস্যুটি স্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা।

ভাঙড়ে বাসন্তি হাইওয়ের পাশে ZA Polimar Private limited এর জুতো কারখানটি। টানা দশ বছর ধরে চলছে। কারখানা সম্প্রাসারণের কাজ শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেইসময়ই বাধা।  কারখানার মালিক জাফর আলমের অভিযোগ, স্থানীয় প্রাণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ-গড়াইজুলি এলাকার বুথ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রাজ্জাক মোল্লার নেতৃত্বে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে।  চলতি মাসের চব্বিশ তারিখ এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

মালিক জাফর আলমের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালপত্র কেনা ও নিজেদের লোক নিয়োগের জন্য চাপ দেয় তৃণমূল নেতা রাজ্জাক মোল্লা। অভিযোগ যে অসত্য নয় তা কার্যত স্বীকার করেছেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই রাজ্জাক মোল্লা।

অথচ এলাকার বিধায়ক আরাবুল ইসলাম কী বলছেন? কারখানা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলছেন তৃণমূল কালিমালিপ্ত করতেই ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে। রাজ্জাক মোল্লা জানিয়েছেন , তাঁর বিরুদ্ধে আর মামলা হত, যদি না তাঁর পাশে থাকতেন আরাবুল ইসলাম। এবার কিন্তু অন্য সুর আরাবুলের।

অর্থাত্‍ মুখ্যমন্ত্রী যতই সোচ্চারে রাজ্যের শিল্পাবান্ধব পরিস্থিতির কথা ঘোষণা করুক না কেন, তৃণমূল দলীয় স্তরে যতই সিন্ডিকেটের বিরোধিতা করে নিদান দেওয়া হোক না কেন। ধরম কাহানি না শোনার মত নেতা তৃণমূলে কম নেই।

 

.