বিপর্যয় ঠেকাতে সুন্দরবনে এল টাওয়ার লাইট

প্রাকৃতিক দুর্যোগে আলোর অভাবে অনেক সময় ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ। ব্যাহত হয় বাঁধ মেরামতির কাজও। সে কথা মাথায় রেখেই এবার উদ্যোগ নিল বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন। আনা হচ্ছে ইমারজেন্সি টাওয়ার লাইট।

Updated By: Jun 29, 2016, 08:37 PM IST
বিপর্যয় ঠেকাতে সুন্দরবনে এল টাওয়ার লাইট

ওয়েব ডেস্ক : প্রাকৃতিক দুর্যোগে আলোর অভাবে অনেক সময় ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ। ব্যাহত হয় বাঁধ মেরামতির কাজও। সে কথা মাথায় রেখেই এবার উদ্যোগ নিল বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন। আনা হচ্ছে ইমারজেন্সি টাওয়ার লাইট।

আসুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এই টাওয়ার লাইট সমস্যার সমাধান করবে-

সুন্দরবন সামান্য বৃষ্টিতেই হয় বানভাসি। অতি বৃষ্টিতে ভেঙে যায় বাঁধও। তখন গ্রামের পর গ্রাম ভাসে প্লাবনে। রাতের অন্ধকারে এমনটা হলে সমস্যায় পড়তে হয় উদ্ধারকারীদের। প্লাবন ঠেকাতে তখন একমাত্র রাস্তা বাঁধ মেরামতি। প্রতি বছর সমস্যায় পড়তে হয় বাসিন্দাদের। লেজে গোবরে হতে হয় প্রশাসনকে। এবার তাই আগে ভাগেই উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে জার্মান সংস্থার তৈরি লাইট কিনেছে উত্তর ২৪ পরগণার জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ইমারজেন্সি টাওয়ার লাইট নামে আলোগুলির এক-একটির দাম প্রায় ২ লাখ টাকা। জোরাল এই আলোগুলি থেকে আশপাশের ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা উজ্বল থাকবে। প্রায় ১২ ফুট উচ্চতার ওই আলোর নীচে আছে পেট্রোল চালিত ছোট একটি জেনারেটর, ২ লিটার তেলে ৮ঘন্টা আলো জ্বলবে। সংস্থা্র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঝড়- বৃষ্টিতেও এই আলো জ্বলানো সম্ভব। বিপর্যয়ের সময় সহজে পরিবহণ যোগ্য ওই আলো ত্রানশিবির বা প্রত্যন্ত এলাকার বাঁধ মেরামতির কাজে ব্যবহার করা যাবে।

আরও পড়ুন-সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে শিক্ষকদের বদলির নিয়ম চালু করার পরিকল্পনা সরকারের

আপাতত বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন লাগোয়া ব্লকগুলির জন্য ৭টি ইমারজেন্সি টাওয়ার লাইট কেনা হয়েছে। ৫টি ব্লকে ৫টি ছাড়াও বসিরহাট মহকুমা ও জেলা প্রশাসনের কাছে আরো ২টি আলো থাকবে। প্রয়োজনে সেগুলিও ব্যবহার করা হবে। দুর্গত মানুষকে উদ্ধারের পরে উচুঁ জায়গায় ত্রান শিবিরেও আলোর অভাব হয়, এই সব সময় এই আলোগুলি ব্যবহার করা যাবে বলে প্রশাসনের কর্তাদের আশা।

.