Bangladesh: 'বাংলাদেশের মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে, তবে মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না'!
Bangladesh: 'আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, বৈষম্যহীন। সবক্ষেত্রেই বৈষম্য দূর করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে'।
সেলিম রেজা ও মোহাম্মদ আলী সুমন, ঢাকা: 'বাংলাদেশের মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে, তবে মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না'। অশান্তির আবহে এবার সম্প্রীতির বার্তা দিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বললেন, 'সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে'। দাবি তুললেন মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার, বাড়িঘর লুটপাটের আন্তর্জাতিক তদন্তেরও।
আজ, মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে শফিকুর বলেন, 'আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, বৈষম্যহীন। সবক্ষেত্রেই বৈষম্য দূর করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা হবে না। মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে তবে মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না, সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে'।
জামায়াতে ইসলামীর আমিরের দাবি, 'শেখ হাসিনার সরকার যদি দফায় দফায় আমাকে জেলে না দিত তাহলে মজলুমদের জুলুমের দৃশ্য সরাসরি আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হত না। মিথ্যুকরা বলে আয়না ঘর বলে কিছু ছিল না, আয়না ঘর তো স্বচক্ষে আমি দেখেছি। শেষবার যেখানে আমাকে নিয়ে রাখা হয়েছিল একই বিল্ডিংয়ে আয়না ঘর ছিল। আয়না ঘরের লোকগুলোকে মাঝে মাঝে নামিয়ে আমার পাশের সেলে রাখত। ওরা অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকত। আমি তাদের চেহারা স্টাডি করার চেষ্টা করতাম। পরবর্তী পর্যায়ে ওদের কাউকে কাউকে কোর্টে চালান দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে'। তাঁর মতে, 'অফিস-আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি নির্মুল করতে হবে। চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)