খণ্ডঘোষ কাণ্ডের জের, মোয়াজ্জেম হোসেনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
খণ্ডঘোষ কাণ্ডের জেরে অবশেষে মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে মনিকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। মোয়াজ্জেমকে দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন তৃণমূলের বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। নির্দেশ পাওয়ার পরই মোয়াজ্জেমকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি স্বপন বিশ্বাস। জেলায় জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছিলই। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বারবারই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নির্মূল করার জন্য বার্তা দিয়েছেন দলের নীচু স্তরে। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রবিবার রাতে বর্ধমানের খণ্ডঘোষে মোয়াজ্জেম হোসেন ও অলক মাঝি -দলের এই দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিন তৃণমূল সমর্থকের।
নিহতদের মধ্যে দুজন অলক মাঝি গোষ্ঠীর। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল মূল অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম ওরফে মনি। থানায় মায়োজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। মায়োজ্জেমের বাড়বাড়ন্তে দলের মুখ পুড়ছে এই বিষয়টি বুঝতে পেরে অবশেষে ব্যবস্থা নিল দল। মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে মনিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। তৃণমূলের বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস এই নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই মোয়াজ্জেমকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি স্বপন বিশ্বাস।
খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদেও রয়েছে মোয়াজ্জেম। সেই পদ থেকেও তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে অরূপ বিশ্বাস। সূত্রে খবর, ঘণ্ডঘোষ কাণ্ডের আগেও এলাকায় বোমা মেলায় পুলিস গ্রেফতার করে মোয়াজ্জেমকে। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের চাপে পড়ে সেসময় মোয়াজ্জেমকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ।