চা বাগান নয়, যেন মৃত্যুপুরী, মৃত আরও দুই
চা বাগান নয়, যেন মৃত্যুপুরী। আজও দু-জন চা শ্রমিকের মৃত্যু হল রাজ্যে। বাগানে মাসের পর মাস ঝুলছে তালা। খাবার নেই। অসুস্থ, তবু চিকিত্সা করানোর সামর্থ্যটুকুও নেই। এই অবস্থায় বেড়েই চলেছে মৃত্যুমিছিল। তবে অপুষ্টিতে মৃত্যু, মানতে নারাজ প্রশাসন।
ওয়েব ডেস্ক: চা বাগান নয়, যেন মৃত্যুপুরী। আজও দু-জন চা শ্রমিকের মৃত্যু হল রাজ্যে। বাগানে মাসের পর মাস ঝুলছে তালা। খাবার নেই। অসুস্থ, তবু চিকিত্সা করানোর সামর্থ্যটুকুও নেই। এই অবস্থায় বেড়েই চলেছে মৃত্যুমিছিল। তবে অপুষ্টিতে মৃত্যু, মানতে নারাজ প্রশাসন।
বাগরাকোট, নাগেশ্বরী, বীরপাড়া, রেডব্যাঙ্ক।.... নামগুলোই যা আলাদা। সবকটি চা বাগানেই ছবিটা এক। এককথায়, মৃত্যুপুরী।
চিন্তামণি ওঁরাও। তাঁর খবর আমরা আগেও করেছি। তখন তিনি অসুস্থ। বিছানার সঙ্গে প্রায় মিশে যাওয়া অবস্থা। খাবার জোটে না। ওষুধ নেই। খবর করি আমরাই।
.... কিন্তু ফল হল কই?
এদিন আরও একবার খবরের হেডলাইন হলেন তিনি। এবার তাঁর মৃত্যুর খবর। বানারহাটে সরকার অধিগৃহীত রেডব্যাঙ্ক চা বাগানে নিজের কোয়ার্টারেই মারা গেলেন চিন্তামণি। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় এই মৃত্যু বলে দাবি প্রশাসনের। তাঁর পরিবার অবশ্য বলছে, টাকার অভাবে চিকিত্সাটুকুও করাতে পারেননি তাঁরা।
বাগরাকোটে এদিন মারা গেছেন বন্ধাইন ওঁরাও নামে আরও এক শ্রমিক। অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনিও। পরিবারের দাবি, অনাহারের কারণে অপুষ্টিতে ভুগছিলেন।
একই অবস্থা, মাসের পর মাস। শ্রমিকদের অভিযোগ, মৃত্যু হলেই একমাত্র টনক নড়ে প্রশাসনের। তাও সাময়িক। এক-দু দিনের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প কিংবা দু টাকা কেজি দরে চাল। ব্যস, এটুকুই। কবে মিলবে কোনও স্থায়ী সমাধান? জবাব চান এঁরা।...