সোয়াম্প ডিয়ারদের `নিরাপত্তা` বাড়ছে জলদাপাড়ায়
এবার থেকে আর এই বিরল প্রজাতির সোয়াম্প ডিয়ারদের কাছাকাছি পর্যটকদের ঘেঁষতে দেবে না জলদাপাড়া অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ। দূর থেকে তাদের চাক্ষুস করেই মেটাতে হবে আশা। মঙ্গলবার জলদাপাড়া রেঞ্জের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। জলদাপাড়ার জঙ্গলে বিরল প্রজাতির সোয়াম্প ডিয়ারের সংখ্যা ৮।
এবার থেকে আর এই বিরল প্রজাতির সোয়াম্প ডিয়ারদের কাছাকাছি পর্যটকদের ঘেঁষতে দেবে না জলদাপাড়া অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ। দূর থেকে তাদের চাক্ষুস করেই মেটাতে হবে আশা। মঙ্গলবার জলদাপাড়া রেঞ্জের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। জলদাপাড়ার জঙ্গলে বিরল প্রজাতির সোয়াম্প ডিয়ারের সংখ্যা ৮। সারা দেশে এই হরিণদের ৩টি উপপ্রজাতির মোট সংখ্যা ৩ থেকে ৪ হাজার। আসাম, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের তরাইয়ের জঙ্গলে এই সোয়াম্প ডিয়ার বা বারশিঙ্গাদের ৩টি উপপ্রজাতির দেখা মেলে। পর্যটনের মরশুমে এই ভিনরাজ্যের অতিথিদের দেখতে জলদাপাড়ায় ভীড় জমান অনেকেই।
এক কালে বাংলার ডুয়ার্সের বনে সন্ধান মিললেও ব্রিটিশ জমানাতেই এখান থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় শাখাপ্রশাখা-যুক্ত শিংয়ের এই মৃগ প্রজাতি। পরবর্তী পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের বারশিঙ্গা পুনর্বাসন পরিকল্পানা অনুযায়ী ১৯৯৮ সালে লখনউ চিডি়য়াখানা থেকে ৪টি মহিলা ও ২টি পুরুষ হরিণ আনা হয় জলদাপাড়া মালঙ্গি বিটে। ওই বিট অফিসের কাছে কাছে চারদিকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয় হরিণগুলিকে। জলাভূমি এবং বড় ঘাসে ঘেরা পছন্দসই পরিবেশে দ্রুত মানিয়েও নেয় তারা। কিন্তু হাতির তাণ্ডবে জাল ভেঙে যায় এবং হরিণগুলি বেরিয়ে যায়। এর ফলে মৃত্যু হয় ৪টি হরিণের।
বর্তমানে এই বিরল প্রজাতির সোয়াম্প ডিয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮। সেগুলিকে রক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই হেক্টর জমির ওপর জালের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। হাতি, চিতা বাঘ প্রভৃতির হামলা থেকে বাঁচাতে জালে রাখা হয়েছে হাল্কা বিদ্যুত্ প্রবাহ। বন দফতর সূত্রে জানান হয়েছে, নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর এই হরিণগুলিকে প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে ততদিন পর্যন্ত পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই তৃণভোজীদের শুধু দূর থেকেই দর্শন পাওয়া সম্ভব হবে।