বানভাসি সুন্দরবনের গল্প

ভোট আসে ভোট যায়। প্রত্যেক ভোটের আগেই মেলে ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি। তবে বদলায় না  দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার ছবিটা। প্রতিবছরই বানভাসি হয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি দেখতে এলাকায় যান বিডিও, এসডিওরা। তবে সেই পর্যন্তই। সরকারি ত্রাণ পৌছয় না দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলোর কাছে।

Updated By: Jul 23, 2014, 09:51 AM IST
বানভাসি সুন্দরবনের গল্প

সুন্দরবন: ভোট আসে ভোট যায়। প্রত্যেক ভোটের আগেই মেলে ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি। তবে বদলায় না  দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার ছবিটা। প্রতিবছরই বানভাসি হয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি দেখতে এলাকায় যান বিডিও, এসডিওরা। তবে সেই পর্যন্তই। সরকারি ত্রাণ পৌছয় না দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলোর কাছে।

রূপনারায়ণ, হলদি, হুগলি তিন নদী ঘিরে রেখেছে  দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রত্যেক বছরই কোটালের জল ভাসিয়ে নিয়ে যায় ঈশ্বরীপুর, দেবনগর, মৌসুমী দ্বীপ, কচুবেড়ে,মির্জাপুর, নূরপুর প্রভৃতি এলাকা। কোটালের জলে জমি, বাড়ি হারিয়ে সর্বহারা হন এইসব গ্রামের মানুষরা।  ছবিটা একই আছে এবছরও। তবে তাতে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। জলমগ্ন গ্রামগুলিতে পৌছয়নি সরকারি ত্রাণ।

প্রত্যেকবারই নির্বাচনে মনোনীত জনপ্রতিনিধিদের মৌখিক আশ্বাস বানীতে ভুলে ভোট দেন গ্রামবাসীরা। তবে তাঁদের দুর্দিনে যখন সরকারি প্রতিনিধিদের পাশে পান না তখন স্বাভাবিকভাবেই ঝরে পড়ে হতাশার সুর।  বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় ঘুরে  গিয়েছেন সরকারি প্রতিনিধিরা। আর সেখানেই শেষ হয়েছে কর্তব্য। এলাকা দেখে ফিরে যাওয়ার পর কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে।

 

.