বিশ্বভারতীর পর ফের ছাত্রী নিগ্রহের অভিযোগ। এবার কাঠগড়ায় উত্তর চব্বিশ পরগনার গোপালনগরের একটি স্কুল। পোশাক খুলিয়ে এক ছাত্রীর দেহ তল্লাসির অভিযোগ উঠল স্কুলের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা রূপালি দে'কে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিস। এক সহপাঠীর ব্যাগ থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার পরই ওই ছাত্রীর দেহ সার্চ করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার এ নিয়ে গোপালনগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রীর অভিভাবকেরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সূত্রে খবর, বুধবার নিগৃহীতা ছাত্রীর এক সহপাঠীর ব্যাগ থেকে খোয়া যায় টাকা। সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রী। এক সহপাঠীকে সন্দেহের কথাও জানায় সে। এরপরই টিচার্স রুমে ডেকে পাঠানো হয় ওই ছাত্রীটিকে। পোশাক খুলিয়ে তার দেহ তল্লাসি করা হয়। প্রথমে সম্ভ্রমহানির এই ঘটনার কথা বাড়িতে বলতেও সঙ্কোচ বোধ করে ওই ছাত্রীটি। শুক্রবার বিষয়টি জানার পরই গোপালনগর থানায় অভিযোগ জানান ওর অভিভাবকেরা। এরপরই নড়েচড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। বিশ্বভারতীতে ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার গোটা দেশ। করবী ছাত্রীনিবাসে এক ছাত্রীকে প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ডেনের বিরুদ্ধে। তা ছাড়া কিছুদিন আগেই জেলার বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটার বেড়িগোপালপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সঠিক ইউনিফর্ম পরে না আসায়, কো এড স্কুলে ক্লাসের মধ্যেই ছাত্রদের সামনে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর পোশাক খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সামনে চলে এল ছাত্রী নিগ্রহের আরও একটি ঘটনা।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার সূতাহাটা থানা এলাকার বাণীতীর্থ বিদ্যামন্দিরে ক্লাসরুমে জল ফেলার অভিযোগে এক ছাত্রীকে জামা খুলে জল মোছার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রধানশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রধানশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ছাত্রী নিগ্রেহ অভিযুক্ত শিক্ষিকা গ্রেফতার