SSC-র দাওয়াই, স্কুল সার্ভিস কমিশনে নতুন নিয়ম!

চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে নতুন দাওয়াই স্কুল সার্ভিস কমিশনের। ইন্টারভিউ বা পার্সোনালিটি টেস্টে এবার অনেক কম প্রার্থী ডাক পাবেন। গতবারের তুলনায় ইন্টারভিউতে প্রার্থী সংখ্যা প্রায় দশ হাজার কম। কমিশনের আশা, এর ফলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের সংখ্যা কমবে। কমবে বিক্ষোভের সম্ভাবনাও। যদিও ইন্টারভিউতে প্রশিক্ষণহীনদের ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। 

Updated By: Oct 18, 2016, 07:53 PM IST
 SSC-র দাওয়াই, স্কুল সার্ভিস কমিশনে নতুন নিয়ম!

ওয়েব ডেস্ক: চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে নতুন দাওয়াই স্কুল সার্ভিস কমিশনের। ইন্টারভিউ বা পার্সোনালিটি টেস্টে এবার অনেক কম প্রার্থী ডাক পাবেন। গতবারের তুলনায় ইন্টারভিউতে প্রার্থী সংখ্যা প্রায় দশ হাজার কম। কমিশনের আশা, এর ফলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের সংখ্যা কমবে। কমবে বিক্ষোভের সম্ভাবনাও। যদিও ইন্টারভিউতে প্রশিক্ষণহীনদের ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। 

চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও চাকরি অমিল। প্রার্থীদের বিক্ষোভ-অবরোধ-অনশনে ‍নাজেহাল অবস্থা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবার সফল প্রার্থীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে নয়া দাওয়াই SSC-র। আগের তুলনায় অনেক কম প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষা বা পার্সোনালিটি টেস্টের জন্য ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। 

SSC-র দাওয়াই

গতবার লিখিত পরীক্ষায় সফল সব প্রার্থীকেই ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছিল। এবার নতুন হারে অন্তত ১০ হাজার কম প্রার্থীকে ডাকা হবে ইন্টারভিউতে। কমিশনের মতে, এর ফলে গতবারের মত লম্বা ওয়েটিং লিস্ট হবে না। চাকরিপ্রার্থীদের ওয়েটিং লিস্ট ছোট থাকলে, হতাশা এবং ক্ষোভও কম হবে। এখানেই শেষ নয়। ইন্টারভিউ বা পার্সোনালিটি টেস্টে ডাক পাওয়ার জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের নিয়মেও পরিবর্তন করেছে SSC।  

SSC-র দাওয়াই

TET-র ফল এবং প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে মোট ৯০ নম্বর ধার্য করে তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেই তালিকার ভিত্তিতে পার্সোনালিটি টেস্টে ডাক পাবেন প্রার্থীরা। গতবারের মত যৌথ মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে না। সংরক্ষিত পদের জন্য পৃথক পৃথক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। 

আপার প্রাইমারিতে শিক্ষকপদে এবার আসন সংখ্যা প্রায় চোদ্দ হাজার। কিন্তু সফল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যাই প্রায় ষাট থেকে আশি হাজার। ফলে এই পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণহীনদের ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

শিক্ষকপদে চাকরির জন্য লক্ষ লক্ষ প্রার্থী প্রতি বছর পরীক্ষায় বসেন। প্রশ্ন উঠছে, চাকরির সুযোগই যেখানে মাত্র কয়েক হাজার, সেখানে সত্তর-আশি হাজার পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে লাভ কী? ফলে প্রার্থী কম ডেকেও কি বিক্ষোভ এড়ানো যাবে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

.