সরকারি ফতোয়ার সমালোচনায় শিলিগুড়ির পাঠক মহল
সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া কয়েকটি সংবাদপত্রই সরকারি গ্রন্থাগারে স্থান পাবে। রাজ্য সরকারের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সব মহলেই। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা গ্রন্থাগারের পাঠক থেকে কর্মীরাও মনে করছেন এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারের স্বৈরতন্ত্রী মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে।
সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া কয়েকটি সংবাদপত্রই সরকারি গ্রন্থাগারে স্থান পাবে। রাজ্য সরকারের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সব মহলেই। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা গ্রন্থাগারের পাঠক থেকে কর্মীরাও মনে করছেন এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারের স্বৈরতন্ত্রী মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে। সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ৮টি সংবাদপত্রই গ্রন্থাগারে রাখতে হবে এই বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলার এই বহু পুরনো সরকারি এই গ্রন্থাগারেও।
শুধু মাত্র সরকারের সমালোচনার জন্যই কি কোপের মুখে পড়তে হল বাদ যাওয়া সংবাদপত্রগুলিকে? এভাবে কি পাঠকদের পছন্দের সংবাদপত্র থেকে দূরে রাখা সম্ভব? প্রতিক্রিয়ায় মুখর হয়েছেন পাঠকরা। শিলিগুড়ি অতিরিক্ত জেলা গ্রন্থাগারে আসা পাঠকদের মতে, গ্রন্থাগারে এসে মানুষ তাঁর ইচ্ছে মতো খবরের কাগজই পড়তে চাইবে। এই ভাবে নির্দিষ্ট কাগজ রাখার নির্দেশিকা ঠিক নয়। সরকারি এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন গ্রন্থাগারের কর্মীরাও। শিলিগুড়ি জেলা গ্রন্থাগারের কর্মী সুজিত চক্রবর্তীর আশঙ্কা, এই নির্দেশিকায় গ্রন্থাগারে পাঠকের সংখ্যা কমতে পারে। পয়লা এপ্রিল থেকে শিলিগুড়ির এই প্রাচীন গ্রন্থাগারে সরকারি বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।