গ্রেফতার হয়ে মন্ত্রী পূর্ণেন্দুকে ভাইপো দেবরাজের sms 'প্রেস কে সব বলে দেব'
কংগ্রেস প্রার্থী দেবরাজ চক্রবর্তী মুখ খুললে বিপদে পড়বেন শাসকদলের নেতানেত্রীরা। তাই, লক আপে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমনই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।
ব্যুরো: কংগ্রেস প্রার্থী দেবরাজ চক্রবর্তী মুখ খুললে বিপদে পড়বেন শাসকদলের নেতানেত্রীরা। তাই, লক আপে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমনই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।
ভোটের দিন রাতে গ্রেফতার হন বিধাননগর পুর নিগমের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী দেবরাজ চক্রবর্তী। দক্ষিণ দমদমের তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যব্রত সাঁতরার অভিযোগ,ভোটের দিন দেবরাজ তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেন। পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। মঙ্গলবার বাগুইআটি থানায় দেবরাজের সঙ্গে দেখা করতে যান অধীর চৌধুরী। কিন্তু, দেখা করার অনুমতি দেয়নি পুলিস।
কাদের দিকে ইঙ্গিত করছেন অধীর চৌধুরী? নেপথ্যে ষড়যন্ত্র?
তৃণমূলের অন্দরের খবর, সম্পর্কে পূর্ণেন্দু বসুর ভাইপো দেবরাজ,২০১১ থেকে মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের দায়িত্ব সামলাতেন।পূর্ণেন্দু বসু ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দোলা সেন সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানা দেবরাজের। যা প্রকাশ্যে এলে দুই নেতাই যথেষ্ট বিব্রত হবেন। গ্রেফতার হওয়ার দিন রাতেই থানায় বসে পূর্নেন্দু বসুকে SMS ও করেছিলেন দেবরাজ। "জেঠু আমি অ্যারেস্ট হলাম। ভুল কিছু করিনি, তা-ও হলাম। আমি কাল প্রেসকে সব বলব তোমার আর দোলাদির ব্যাপারে। এত নীচে নামবে আমি জানতাম না। থ্যাঙ্ক ইউ।'
কিন্তু, কেন পূর্ণেন্দু বসু ও দোলার সেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দেবরাজ?
এবারের পুরভোটে টিকিট কনফার্ম ছিল দেবরাজের। আপত্তি ছিল না পূর্ণেন্দু বসুরও। কিন্তু, মুকুল ঘনিষ্ঠ দেবরাজকে প্রার্থী করতে আপত্তি ছিল দোলা সেনের। টিকিট হাতছাড়া হওয়ায় দল ছাড়েন দেবরাজ। যোগ দেন কংগ্রেসে। বিধাননগরের সাত নম্বর ওয়ার্ড থেকে দেবরাজকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। বয়সে তরুণ ও এলাকায় জনপ্রিয় দেবরাজ প্রার্থী হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে শাসক দল। কংগ্রেসের দাবি, ওয়ার্ড হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে ষড়যন্ত্র করে দেবরাজকে ফাঁসিয়েছে শাসকদল।