সবংয়ে ছাত্র খুনের পিছনে টিএমসিপিকেই দায়ি করল পুলিসি তদন্ত, ধৃত তিন টিএমসিপি নেতা
সবংয়ে ছাত্র খুনের পিছনে টিএমসিপিই। পুলিসি তদন্ত আর তৃণমূল নেতাদের বয়ান থেকেই একথা স্পষ্ট। খুনের অভিযোগে ধৃত তিন জনই টিএমসিপির সদস্য।
ব্যুরো: সবংয়ে ছাত্র খুনের পিছনে টিএমসিপিই। পুলিসি তদন্ত আর তৃণমূল নেতাদের বয়ান থেকেই একথা স্পষ্ট। খুনের অভিযোগে ধৃত তিন জনই টিএমসিপির সদস্য।
রাজনৈতিক রেষারেষির জেরে কলেজের ভেতরই পিটিয়ে খুন ছাত্র। ঘটনার পরই আঙুল উঠেছিল শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। এবারে খুনের অভিযোগে ধৃতদের পরিচয়েও সেই প্রমাণ মিলেছে। খুনের অভিযোগে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় শেখ সানোয়ার আলি, শেখ মুন্না এবং অসীম মাইতিকে।
ধৃত শেখ সানোয়ার আলি ছিলেন টিএমসিপির ইউনিট প্রেসিডেন্ট। টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিট মেম্বারদের পরিচয়পত্রেও জ্বলজ্বল করছে তার সই।
তবে সেই তথ্য মানতে চাননি, টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র।
টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি যে দাবিই করুন, সবংয়ের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি কিন্তু অন্য কথা বললেন। বোঝা গেল সদ্য প্রাক্তন হওয়া ইউনিট প্রেসিডেন্ট সানোয়ার এতদিনে সংগঠনে প্রোমোশন পেয়ে এখন টিএমসিপির ব্লক সভাপতি।
অর্থাত্ শুধু শেখ সানোয়ারই নন, ধৃত শেখ মুন্নাও যে টিএমসিপির পদাধিকারী তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি।
টিএমসিপি নেতা সানোয়ারের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সানোয়ার কলেজে টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তি করাতো বলে অভিযোগ তুলছেন অনেকে।
সানোয়ারবাবু এলেবেলে লোক নন বোঝাই যাচ্ছে। কলেজের ছাত্র সংসদ ছাত্রপরিষদের দখলে। কিন্তু শাসক দলের দাদাদের মদতেই সানোয়ার-মুন্নাদের দাপট এখানে একছত্র। কলেজ থেকে যে কোনও মূল্যে ছাত্রপরিষদকে উচ্ছেদের টার্গেট নিয়েছিল তারাই। যে টার্গেটেই সম্ভবত প্রাণ দিতে হয়েছে সবংয়ের কৃষ্ণপ্রসাদ জানাকে।