বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের হেক্টর পিছু কৃষিজমিতে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

বারোটি জেলাকে ভাসিয়ে অবশেষে শান্ত হল প্রকৃতি। ধীরে ধীরে নামছে জল। অতিবৃষ্টি ও DVC-র ছাড়া জলে বিপন্ন পশ্চিমবঙ্গের কৃষক সমাজ। ধান থেকে সবজি, সবই গেছে জলের তলায়। বন্যায় ভেসেছে ১২ জেলায় ১০ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি। নষ্ট হয়েছে ৪০ লক্ষ টন ধান । ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ ৪২ হাজার কৃষক। প্রভাবিত ৪ লক্ষ কৃষিমজুর।  ক্ষতিপূরণের জন্য বিশেষ শিবির করবে রাজ্য সরকার।

Updated By: Aug 8, 2015, 01:13 PM IST
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের হেক্টর পিছু কৃষিজমিতে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

ব্যুরো: বারোটি জেলাকে ভাসিয়ে অবশেষে শান্ত হল প্রকৃতি। ধীরে ধীরে নামছে জল। অতিবৃষ্টি ও DVC-র ছাড়া জলে বিপন্ন পশ্চিমবঙ্গের কৃষক সমাজ। ধান থেকে সবজি, সবই গেছে জলের তলায়। বন্যায় ভেসেছে ১২ জেলায় ১০ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি। নষ্ট হয়েছে ৪০ লক্ষ টন ধান । ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ ৪২ হাজার কৃষক। প্রভাবিত ৪ লক্ষ কৃষিমজুর।  ক্ষতিপূরণের জন্য বিশেষ শিবির করবে রাজ্য সরকার।

এমন পরিস্থিতি থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, এখন সেই রাস্তাই হাতড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। হেক্টর পিছু কৃষিজমিতে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। যাঁদের নিজস্ব কৃষিজমি আছে, তাঁরা ওই ক্ষতিপূরণ পাবেন। যাঁদের জমি নেই অর্থাত্‍ ক্ষেত মজুর, তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে।

জমির পরচা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ভোটার আইকার্ড নিয়ে কৃষকদের ওই শিবিরে যেতে হবে। নথি খতিয়ে দেখে চেকের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমন ধান চাষের সময় এখনও শেষ হয়নি। বৃষ্টি কমলে কৃষকদের আমনের উচ্চ ফলনশীল বীজ দেবে রাজ্য। সবজির ক্ষেত্রেও কমার্সিয়াল বীজ দেওয়া হবে। বিকল্প পদ্ধতিতে ধানচাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেবেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছ থেকে চাষের পদ্ধতি জানতে চেয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকারের নিজস্ব কিছু খামার আছে। সেখানে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। সেই বীজতলাও কৃষকদের মধ্যে বিলি করবে সরকার। একদিকে ক্ষতিপূরণ। সঙ্গে বিকল্প চাষের ব্যবস্থা। আপাতত এই দুইয়ে ভর করেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় বন্যা বিধ্বস্ত বাংলা।

.