টোটোয় ঘোরা, ধাবায় লাঞ্চ, নবরূপে রূপা
টোটোয় ঘোরা। ধাবায় লাঞ্চ। রাস্তার ধারে সাইবার ক্যাফেতে বসে নেট সার্ফিং। দলের নীচুতলার কর্মীকে বাঁচাতে আদালতে ছোটাছুটি। নতুন চেহারায় রূপা গাঙ্গুলিকে দেখলেন সিউড়ির মানুষ। তবে, দিনভরের কর্মকাণ্ডে লাগল একটু বিতর্কের ছোঁয়াও। লক্ষ্যে পৌছনোই লক্ষ্য। বাহন নিয়ে তিনি ভাবেন না। রূপার এই রূপ দেখলেন সিউড়ির বাসিন্দার।
সাত্তোরের নির্যাতিতার গ্রেফতারির খবর শুনতেই বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সোমবার ভোররাতে রওনা দিয়ে দশটায় পৌছন সিউড়ি। সংশোধনাগারে গিয়ে কথা বলেন নির্যাতিতা ও তাঁর একরত্তি ছেলের সঙ্গে। সংশোধনাগার থেকে সিউড়ি আদালতে। জামিনের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু, বার অ্যাসোসিয়েশনের ঘরে বসে বৈঠক করতে গিয়ে জড়ালেন বিতর্কে। এরপর সোজা গাছতলার বেঞ্চিতে। হাইকোর্ট থেকে জরুরি তথ্য আসার কথা। কিন্তু ডাউনলোড হচ্ছিল না কিছুতেই। আর অপেক্ষা না করে এবার সোজা হাঁটা লাগালেন। রাস্তায় টোটো ধরে সোজা বাসস্ট্যান্টে। এই দৃশ্যে ভিড় জমে গেল। কিন্তু নজর দেওয়ার সময় নেই রূপা। সাইবার ক্যাফে থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ জোগাড় করে ফিরলেন আদালতে। এজলাসে বিচারকের বক্তব্য শোনার পর রওনা হলেন...
পথে থামলেন এক ধাবায়। সেলিব্রিটি ইমেজ ঝেড়ে ফেলে এভাবেই মিশতে চাইলেন দলের নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে। যদিও, দিনভরের কর্মকাণ্ড ফের একবার তাঁর ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্বই সামনে নিয়ে এল।