ধন্যি মেয়ে
রাত পোহালে রবিবারই ছিল বাড়ির ছোট্ট মেয়েটার বিয়ে। আত্মীয়স্বজনে গমগম করছিল রায়গঞ্জের ট্যাগরা গ্রামের বসাকদের বাড়িটা। শুরু হয়ে গিয়েছিল প্যান্ডেল বেঁধে রান্নাবান্না। আলপনা দেওয়া, ম্যারাপ বাঁধা-সবেরই আয়োজন প্রায় সারা হয়ে গিয়েছিল। আচমকাই বাড়িতে হাজির পঞ্চায়েতের লোকজন। আর তখনই জানা গেল ধন্যি মেয়ের কীর্তি।
রাত পোহালে রবিবারই ছিল বাড়ির ছোট্ট মেয়েটার বিয়ে। আত্মীয়স্বজনে গমগম করছিল রায়গঞ্জের ট্যাগরা গ্রামের বসাকদের বাড়িটা। শুরু হয়ে গিয়েছিল প্যান্ডেল বেঁধে রান্নাবান্না। আলপনা দেওয়া, ম্যারাপ বাঁধা-সবেরই আয়োজন প্রায় সারা হয়ে গিয়েছিল। আচমকাই বাড়িতে হাজির পঞ্চায়েতের লোকজন। আর তখনই জানা গেল ধন্যি মেয়ের কীর্তি। বিয়ে না দেওয়ার জন্য, অনেকবার বাবা-মার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল পিঙ্কি। বলেছিল, সাবালিকা হয়ে তবে সে বিয়ে করবে, এখন পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বছর ষোলোর পিঙ্কির কথায় কান দেননি কেউ। এগারোই ডিসেম্বর বিয়েও ঠিক করে ফেলেছিলেন পিঙ্কির অভিভাবকরা। উপায় না দেখে, উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে এক বন্ধু মারফত্ বিয়ের কার্ডটা পিঙ্কি পাঠিয়ে দেয় রায়গঞ্জের মহকুমাশাসকের কাছে। থানা থেকে খবর যায় বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে। অবশেষে বাড়ির ছোট্ট মেয়েটার জেদের কাছে হার মানেন অভিভাবকরাও। বাতিল করা হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
আফসানা খাতুন, রেখা কালিন্দি, সুনীতা মাহাত, বীণা কালিন্দীদের দেখানো পথে হাঁটল সোনামণি সিং ।