চিত্পুরের পর মেদিনীপুর, আট বছর ধরে নার্সকে ধর্ষণ চিকিত্সকের
চিত্পুরের পর মেদিনীপুর, আট বছর ধরে নার্সকে ধর্ষণ চিকিত্সকের
মেদিনীপুর: চিত্পুরের পর এবার মেদিনীপুর। ফের প্রকাশ্যে চরম নৃশংসতার কাহিনী। আট বছর ধরে বারবার নার্সকে ধর্ষণ নার্সিংহোম মালিকের। যিনি আবার পেশায় চিকিত্সকও। অভিযুক্ত নার্সিংহোম মালিক দেবল রঞ্জন দত্ত। আট বছর ধরে অত্যাচার সহ্য করতে করতে শেষ পর্যন্ত রুখে দাঁড়ালেন নির্যাতিতা।
............................................
২০০৬ সালে মেদিনীপুরের নার্সিংহোমে নার্সের কাজ শুরু করেন নির্যাতিতা। পরের বছর অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলার ভাই। চিকিত্সার খরচ যোগাতে নার্সিংহোম মালিক দেবল রঞ্জন দত্তের শরণাপন্ন হন তিনি। টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মহিলাকে হোটেলে ডেকে পাঠান দেবল রঞ্জন দত্ত। সেখানেই প্রথম বার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে।
.............
এখানেই শেষ নয়। মোবাইলে সেদিনের ছবি তুলে রেখেছিলেন দেবল রঞ্জন দত্ত। সেই ছবি দেখিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। পরেও বারবার ধর্ষণ করা হয় মহিলাকে। মুখ খুললেই ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি। এমনকি প্রতিবাদ করার সাহসও পাননি ওই মহিলা।
.........................................
গত ৩১ মে তাঁর এক বন্ধুর কাছে যাওয়ার জন্য ওই মহিলাকে নির্দেশ দেন দেবল রঞ্জন দত্ত। এতেই রুখে দাঁড়ান নির্যাতিতা। জানিয়ে দেন কোনও ভাবেই এ প্রস্তাব মানবেন না। এবার চেম্বারে ডেকে নির্যাতিতাকে রীতিমতো বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেন নার্সিংহোম মালিক। চলে হুমকির পর হুমকি। কাজও চলে যায় ওই মহিলার।
.......................................
পুলিসকে কাছে গিয়েও হয়রানির শিকার মহিলা। নির্যাতিতার দাবি, মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা প্রথমে অভিযোগ নিতেই চায়নি। শেষ পর্যন্ত আটই জুলাই পুলিস সুপারকে গোটা বিষয়টি জানান মহিলা। সুপারের নির্দেশে অভিযোগ নেয় পুলিস। এদিন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন নির্যাতিতা।