রায়গঞ্জে `আমরা`, মাজদিয়ায় `ওরা`
রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় ফের জামিনযোগ্য ধারাই প্রয়োগ করল প্রশাসন। আত্মসমর্পণ করা প্রিয়ব্রত দুবের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগই রুজু করা হয়েছে জামিনযোগ্য ধারায়।
রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় ফের জামিনযোগ্য ধারাই প্রয়োগ করল প্রশাসন। আত্মসমর্পণ করা প্রিয়ব্রত দুবের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগই রুজু করা হয়েছে জামিনযোগ্য ধারায়। ফলে রায়গঞ্জ কাণ্ডে আগে ধরা পড়া অভিযুক্তদের মতোই প্রিয়ব্রত দুবেরও আত্মসমর্পণ করেই জামিন পেলেন। অন্যদিকে মাজদিয়ার কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে প্রশাসন। তার জেরে ওই কলেজের তিন ছাত্র এখন চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন। একই ধরণের অপরাধে দুধরণের পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
রায়গঞ্জ কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করলেও, মাজদিয়ায় অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিস। ফলে রবিবার মাজদিয়ার অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই ধরণের ঘটনায় দুরকম আচরণে পুলিসের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠছে। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। অধ্যক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি ধারায় মামলা দায়ের করেছিল পুলিস। তালিকায় ছিল দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি তিলক চৌধুরীর নামও। ধারাগুলি সবকটিই জামিন যোগ্য হওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তরা। শনিবার মাজদিয়া কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোট ৬টি ধারায় মামলা করে পুলিস। এর মধ্যে একটি ধারা জামিন অযোগ্য হওয়ায় আদালত ধৃত তিন এসএফআই সমর্থককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। মাজদিয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা বিরোধী রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্য বলেই কি পুলিসের এহেন আচরণ, এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে। তার পরও পুলিস তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা প্রিয়ব্রত দুবের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করায় বিভাজন আরও স্পষ্ট হল।